এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৪২
একটা বিষয়ে আমার মনে বড়ো খট্কা লেগেচে, তুমি চিঠিতে লিখেচো—আমি নিশ্চয়ই তোমার দিদির চেয়ে বেশি ইংরেজি জানি। এটা কি উচিৎ? তোমার জ্যেষ্ঠা সহোদরা, কলেজে পড়ে, তা’র ইংরেজি জ্ঞানের প্রতি এত বড়ো অবজ্ঞা প্রকাশ কি ভালো হ’য়েচে? সে যদি জান্তে পারে তা হ’লে তা’র মনে কত বড়ো আঘাত লাগ্বে—একবার ভেবে দেখো দেখি। আমার চিঠি পেয়েই তা’র কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা ক’রো।
তা’র মতো আমি যদি ইংরেজিতে পরীক্ষা পাশ ক’র্তে পার্তুম তা হ’লে কি এমন বেকার ব’সে থাক্তুম? তা হ’লে অন্ততঃ পুলিশের দারোগাগিরি জোগাড় ক’র্তে পার্তুম। চিরদিন স্কুল পালিয়ে কাটালুম, কুঁড়েমি ক’রেই এমন মানবজন্মের সাতাশটা বছর[১] বৃথা নষ্ট ক’র্লুম—এইজন্যে পাছে আমার
- ↑ ভানুসিংহের বয়স-যে সাতাশ বছরে এসে চিরকালের মতো ঠেকে গেচে, বালিকার এই একটি স্বরচিত বয়ঃপঞ্জীর বিধান ছিল।