পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পতাবলী
১২৫

 চিঠি জিনিসটা ছোট্ট, মালতী-ফুলের মতো, কিন্তু সেই চিঠি যে-আকাশের মধ্যে ফুটে ওঠে সেই আকাশ মালতী-লতারই মতো বড়ো। আমাদের যত কেজো লোকের অবকাশ টবের গাছ, তা’র থেকে যে-সব পত্রোদ্গম হয় সে তো পোষ্টকার্ডের চেয়ে বড়ো হ’তে চায় না। ইতি ২২ চৈত্র, ১৩২৮।

৪৭

শান্তিনিকেতন

 এতদিনে তুমি কাশী পৌঁছেচো, পথের মধ্যে ভিড় পাওনি তো? এখন কেমন আছো—লিখো। তোমার যাবার পরদিন থেকেই বিদ্যালয়ের কাজ রীতিমতো আরম্ভ হ’য়ে গেচে, রোজই কমিটি, মিটিং এবং ক্লাসের কাজও চ’ল্‌চে। ছেলেরা অনাবৃষ্টির পরে আষাঢ়ের ধারার মতো কলরব ক’র্‌তে ক’র্‌তে এখানকার শূন্য ঘর সব পূর্ণ করে দিয়েচে। এখন আমার কাজের আর অন্ত নেই।

 মেয়েরা সকলেই পরশুরাম হ’য়ে উঠেচে—কুড়ুল দিয়ে ঠকাঠক্ গাছ কাট্‌তে লেগে গেচে। তা’রা আছে