দিয়ে অরুণোদয় খুব সুন্দর হ’য়ে দেখা দিয়েছিলো। আমি তখন পূবদিকের বারান্দায় ব’সেছিলুম, আমার মনের সঙ্গে যেন তা’র মুখোমুখি কথা চ’ল্ছিলো। মন যেদিন তা’র চোখ মেলে, সেদিন প্রত্যেক সকালবেলাটিই তা’র কাছে অপূর্ব্ব হ’য়ে দেখা দেয়। বিশ্বলক্ষ্মী তাঁর অন্দরের দ্বারের কাছে রোজই দাঁড়িয়ে থাকেন, যেদিন আমরা প্রস্তুত হ’য়ে তাঁর কাছে গিয়ে হাত পাতি, সেদিন তাঁর দান মুঠো ভ’রে পেয়ে থাকি। পৃথিবী থেকে যাবার সময় আমি এই কথা ব’লে যেতে পার্বো-যে, এমন দান আমি অনেক পেয়েচি।
সেপ্টেম্বরের আরম্ভে আমার বোম্বাই যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেন না, সেপ্টেম্বরের ১৫ই তারিখে ক’ল্কাতায় আমাদের শারদোৎসবের পালা ব’স্বে—আমাকে সাজ্তে হবে সন্ন্যাসী। আমার এই সন্ন্যাসী সাজ্বার আর কোনো অর্থ নেই—অর্থ-সংগ্রহ ছাড়া। শুনে তোমরা বিস্মিত হ’য়ো না, তোমাদের বারাণসীধামে এমন অনেক লোক আছেন আছেন যাঁরা সন্ন্যাসী সেজেছেন অর্থের প্রত্যাশায়, আর যাঁদের প্রত্যাশা নিরর্থক হয়নি।
এল্ম্হার্ষ্ট সাহেব এসেচেন। তাঁর কাছে শুন্লুম