জায়গা জুড়ে গিয়েচে, কেবল আর-একটিমাত্র চৌকি আছে। ঘরের মধ্যে লোকের ভিড় হবার জায়গা রাখিনি।
এখন মধ্যাহ্ন, ক-টা বেজেচে ঠিক ব’ল্তে পারিনে, কারণ আমার ঘড়ি বন্ধ। বন্ধ না থাক্লেও-যে ঠিক সময় পাওয়া যেতো তা নয়; তুমি আমার সেই ঘড়ির পরিচয় জানো। এইটুকু ব’ল্তে পারি, কিছু পূর্ব্বেই একখানা পরোটা ডাল ও তরকারী সংযোগে আহার ক’রে লিখ্তে ব’সেচি।
রৌদ্র প্রখর, শরতের শাদা মেঘ স্তরে স্তরে আকাশের যেখানে-সেখানে স্ফীত হ’য়ে প’ড়ে আছে, বাইরে থেকে শালিখ পাখীর ডাক শুনতে পাচ্চি, বামের রাস্তা দিয়ে ক্যাঁচ ক্যাঁচ ক’র্তে ক’র্তে মন্দগমনে গোরুর গাড়ি চ’লেচে, আমার ডানদিকের দক্ষিণের জানালা দিয়ে কচি ধানের ক্ষেতের প্রান্তে সুদূর তালগাছের সার দেখা যাচ্চে, তন্দ্রালস ধরণীর দীর্ঘনিশ্বাসটি নিয়ে আতপ্ত হাওয়া ধীরে ধীরে আমার পিঠে এসে লাগ্চে।
এ রকম দিনে কাজ ক’র্তে ইচ্ছে করে না, এই মেঘগুলোর মতোই অকেজো হাওয়ায় মনটা বিনা