আজ আমি চ’লেচি সমুদ্র পারে কাজের ক্ষেত্রে; যখন সেই কাজের ভিড়ে থাক্বো তখন হয় তো আমার ভিতরকার কর্ম্মী আর-সকল কথা ভুলিয়ে দেবে। কিন্তু তবু সেই সুদূর গানের ঝরণাতলায় বাঁশীর বেদনা ভিতরে ভিতরে আমাকে নিশ্চয়ই ডাক্বে;—ডাক্বে সেই নির্জ্জন নির্ম্মল নিভৃত ঝরণাতলার দিকেই। সেই ডাক আমার সমস্ত ক্লান্তি ও অবসাদের ভিতর দিয়ে আমার বুকের মধ্যে আজ এসে কুহরিত হ’চ্চে। ব’ল্চে, সেখানে ফিরে যাবার পথ এখনো সম্পূর্ণ হয় নি, এখনো আমার সুরের পাথেয় সম্পূর্ণ নিঃশেষ হ’য়ে যায় নি, এখনো সেই নব নব বিস্ময়ে দিশাহারা বালককে কোনো এক ভিতরমহলে খুঁজে পাওয়া যায়।
তাই, যদিও আজ চ’লেচি পশ্চিম-সমুদ্রের তীরে, আমার মন খুঁজে বেড়াচ্চে আর-এক তীরে সকল কাজভোলা সেই বালকটাকে। পূরবী গানে সে আপন লীলা শেষ ক’র্তে না পার্লে সন্ধ্যা ব্যর্থ হবে; এখন সে কোথায় ঘুরে ম’র্চে। ফিরে আয়, ফিরে আয়, ব’লে ডাক প’ড়েচে। একজন কে তা’র গান শুনতে ভালোবাসে। আকাশের মাঝখানে