১০
তোমার চিঠি আজ এইমাত্র পেলুম। এইমাত্র ব’ল্তে কী বোঝায় বলি। দুপুর বেলাকার খাওয়া হ’য়ে গেচে। সেই কোণটাতে তাকিয়া ঠেশান দিয়ে ব’সেছিলুম। আকাশ ঘন মেঘে অন্ধকার হ’য়ে গেছে —পশ্চিম দিক থেকে মাঝে মাঝে সোঁ সোঁ ক’রে ঝোড়ো বাতাস বইচে। ইন্দ্রের ঐরাবতের বাচ্চাগুলোর মতো মোটা মোটা কালো মেঘ আকাশময় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্চে। মাঝে মাঝে গুরু গুরু গর্জ্জন শোনা যায়। সাম্নে সবুজ মাঠের উপবে মেঘ্লা দিনের ছায়া, নিবিড় স্নিগ্ধতার মধ্যে চোখ ডুবে গেচে। তোমাকে লিখ্তে লিখ্তে বৃষ্টি নেমে এলো—বৃষ্টি একটুমাত্র দেখা দিলেই আমার এই বারান্দায় তা’র পায়ের শব্দ তখনি শোনা যায়। দূরে ভুবনডাঙার দিকে বাঁধের কাছে যে ঘন বনশ্রেণী দেখা যায়, বৃষ্টির ধারায় সেটা একটু ঝাপ্সা হ’য়ে এসেচে—বনলক্ষ্মী যেন তা’র পাত্লা ওড়্নাটাকে মুখের উপর ঘোম্টা টেনে দিয়েচে। ক-টা বেজেচে, ঠিক ব’ল্তে পারিনে। আমার সামনের দেয়ালে যে-