১৯
তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা ক’রেচো, “রবিদাদা” না ব’লে আমাকে আর একটা কোনো নামে সম্ভাষণ ক’র্তে পারো কিনা? মহাভারতের সময়ে মানুষের একএকজনের দশ-বিশটা ক’রে নাম থাক্তো, যার যেটা পছন্দ বেছে নিতে পার্তো। কিম্বা যে-ছন্দে যেটা মেলাবার সুবিধে, লাগিয়ে দিতো। অর্জ্জুনের কত নাম-যে ছিল, তা অর্জ্জুনকে রোজ বোধ হয় নাম্তা মুখস্থ করার মতো মুখস্থ ক’র্তে হ’তো। আমার-যে আকাশের মিতাটি আছেন, তাঁরও নামের অভাব নেই। যদি তাঁর দুটো-একটা নাম ধার ক’রে নিতে চাও, তা হ’লে বোধ হয় তাঁর বিশেষ কিছু লোকসান হবে না। কিন্তু যখন নামকরণ ক’র্বে, তখন আমার সম্মতি নিলে ভালো হয়। প্রথম যখন আমার নামকরণ হয়, তখন কেউ আমার সম্মতি নেয়নি, তবু দেখ্তে পাচ্চি নামটা মন্দ হয়নি,— কিন্তু হঠাৎ যদি তোমার মার্ত্তণ্ড নামটাই পছন্দ হয়, তা হ’লে কিন্তু আমি আপত্তি ক’র্বো। ‘ভানু’ নামটা যদিচ খুব সুশ্রাব্য নয়, তবু ওটা আমি একবার