নিজেই গ্রহণ ক’রেছিলুম। আর এক হ’তে পারে, যদি “কবিদাদা” বলো। নামটা ঠিক সঙ্গত হোক্ বা না হোক্, ওটা আমার নিজের কাজের সঙ্গে মেলে—
এক-যে ছিল রবি,
সে গুণের মধ্যে কবি।
কিন্তু একটা কথা তোমাকে ব’লে রাখি, “প্রিয় কবিদাদা” ব’ল্লে চ’ল্বে না। প্রথম কারণ হ’চ্চে এই— যে, তোমার প্রিয় কবি-যে কে, তা আমি ঠিক জানিনে। খুব সম্ভব যে-লোকটা সেই আশ্চর্য্য হিন্দী দোঁহা লিখেছিলো সেই হবে। তা’র সঙ্গে ছ-অক্ষরের অনুপ্রাসে আমি-যে কোনোদিন পাল্লা দিতে পার্বো, এমন শক্তি বা আশা আমার নেই। দ্বিতীয় কারণ হ’চ্চে এই-যে, ইংরেজিতে ‘প্রিয়’ বলে না এমন মানুষই নেই—সে অমানুষ হ’লেও তাকে বলে,—এমন কি সে যদি দোঁহা না লিখ্তে পারে তবুও। আমার মত হ’চ্চে এই-যে, রাস্তা-ঘাটের সবাইকেই যদি ‘প্রিয়’ ব’ল্তে হবে এমন নিয়ম থাকে, তবে দুই-এক জায়গায় সে-নিয়মটা বাদ দেওয়া দরকার। অতএব আমাকে যদি শুধু “রবিদাদা” বলো, তা হ’লে আমি বারণ ক’র্বো না। এমন কি, যদি তোমার মার্ত্তণ্ড নামটাই পছন্দ হয়, তা হ’লে “প্রিয়