পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভানুসিংহের পত্রাবলী
৫১

মার্ত্তণ্ড দাদা” লিখো না। তা হ’লে বরঞ্চ লিখো, “মার্ত্তণ্ডদাদা, প্রচণ্ড প্রতাপেষু।” যদি কোনোদিন তোমার সঙ্গে রাগারাগি করি, তা হ’লে ঐ নামে ডাক্‌লেই হবে।

 আমাদের আশ্রমের আকাশে শারদোৎসব আরম্ভ হ’য়েচে— শিউলিবন সাড়া দিয়েচে, মালতীলতার পাতায় পাতায় শুভ্রফুলের অসংখ্য অনুপ্রাস, কিন্তু রাত্রে চাঁদের আলোয় আকাশ-জোড়া একখানি মাত্র শুভ্রতা। আমাদের লাল রাস্তার দুই ধারে কাশের গুচ্ছ সার বেঁধে দাঁড়িয়ে বাতাসে মাথা নত ক’রে ক’রে পথিকদের শারদ-সঙ্গীত শুনিয়ে দিচ্চে। সমস্ত সবুজ মাঠে, সমস্ত শিশির-সিক্ত বাতাসে উৎসবের আনন্দ-হিল্লোল ব’য়ে যাচ্চে। অন্তরে বাইরে ছুটি, ছুটি, ছুটি—এই রব উঠেচে। ছুটিরও আর কেবল দুই সপ্তাহ বাকি আছে। আমাদের যখন ছুটি আরম্ভ, তখন তোমাদের শৈলপ্রবাস বোধ হয় সাঙ্গ হবে। পার্ব্বতী যখন হিমালয়ে তাঁর পিতৃভবনে যাবেন, তখন তোমরা তাঁকে অভ্যর্থনা করবার জন্যে সেখানে থাক্‌বে না। কিন্তু হিমালয়ের খবর আমরা রাখিনে, কৈলাসের তো নয়ই; আমরা তো এই স্পষ্ট দেখতে পাচ্চি, স্বর্ণকিরণচ্ছটায় শারদা