বিলাসিনী”। তবে তাকে কী ব’লে ঠেকাবো? তুমি ভেবে রেখে দিয়ো।
ছুটির দিন এলো—পর্শু ছুটি, তারপরে কী ক’র্বো? তখন কেবল শিউলিবন, শিশির-ভেজা ঘাস, আর দিগন্ত-প্রসারিত মাঠ আমার মুখ তাকিয়ে থাক্বে। তা’রা তো আমার কাছে ইংরেজি শিখ্তে চায় না—তা’রা চায় আমার মনের মধ্যে যে আনন্দের সোনার কাটি আছে সেইটে ছুঁইয়ে দিয়ে তাদের জাগিয়ে তুল্বো এবং আমার চেতনার সঙ্গে তাদের সৌন্দর্য্যকে মিলিয়ে দেবো। আমার জাগরণের ছোঁয়াচ্ না লাগলে পরে প্রকৃতি জাগ্বে কী ক’রে? নীলাকাশের কিরণ-কমলের উপরে শারদলক্ষ্মী আসনগ্রহণ করেন, কিন্তু আমার আনন্দ-দৃষ্টি না প’ড়্লে পরে সে পদ্মই ফোটে না।
আজ বুধবার। আজ মন্দিরে ছুটির ঠাকুরের কথা ব’লেচি। যখন আমরা কাজ ক’র্তে থাকি, তখন শক্তির সমুদ্র থেকে আমাদের মধ্যে জোয়ার আসে, তখন আমরা মনে করি এ শক্তি আমারই এবং এই শক্তির জোরেই আমরা বিশ্বজয় ক’র্বো। কিন্তু শক্তিকে বরাবর খাটাতে তো পারিনে—সন্ধ্যা যখন আসে