২২
মাদ্রাজের দিকে যে-দিন যাত্রা ক’রেছিলুম সে-দিন শনিবার এবং সপ্তমী, অন্যান্য অধিকাংশ বিদ্যারই মতো দিনক্ষণের বিদ্যা আমার জানা নেই। ব’ল্তে পারিনে আমার যাত্রার সময় লক্ষকোটি যোজন দূরে গ্রহনক্ষত্রের বিরাট্ সভায় আমার এই ক্ষুদ্র মাদ্রাজ ভ্রমণ সম্বন্ধে কী রকম আলোচনা হ’য়েছিলো, কিন্তু তা’র ফলের থেকে বোঝা যাচ্চে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর মধ্যে ঘোরতর মতভেদ হ’য়েছিলো। সেই জন্যে আমার ভ্রমণ-পথের হাজার মাইলের মধ্যে ছ-শো মাইল পর্য্যন্ত আমি সবেগে সগর্ব্বে এগোতে পেরেছিলুম। কিন্তু বিরুদ্ধ জ্যোতিষ্কের দল কোমর বেঁধে এম্নি অ্যাজিটেশন্ ক’র্তে লাগ্লো-যে, বাকি চারশো মাইলটুকু আর পেরোতে পারা গেল না। জ্যোতিষ্ক-সভায় কেবলমাত্র আমারই যাত্রা সম্বন্ধেই-যে বিচার হ’য়েছিলো তা নয়—বেঙ্গল-নাগপুর রেললায়ে লাইনের যে-এঞ্জিনটা আমার গাড়ি টেনে নিয়ে যাবে, মঙ্গল, শনি এবং অন্যান্য ঝগড়াটে গ্রহেরা তা’র সম্বন্ধেও প্রতিকূল মন্তব্য প্রকাশ ক’রেছিলো—