পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
ভানুসিংহের পত্রাবলী

দেয় না। স্পষ্ট বোঝা গেল, দক্ষিণের দিকে সে আর এক পাও বাড়াবে না। মনের সঙ্গে বেঙ্গল-নাগপুরের এঞ্জিনের একটা মস্ত প্রভেদ এই-যে, এঞ্জিন বিগ্‌ড়ে গেলে আর একটা এঞ্জিন টেলিফোন্ ক’রে আনিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু মন বিগ্‌ড়োলে সুবিধামতো আর একটা মন পাই কোথা থেকে? সুতরাং মাদ্রাজ চারশো মাইল দূরে প’ড়ে রইলো আর আমি গতকল্য শনিবার মধ্যাহ্নে সেই হাবড়ায় ফিরে এলুম। যে-শনিবার একদা তা’র কৌতুক-হাস্য গোপন ক’রে আমাকে মাদ্রাজের গাড়িতে চড়িয়ে দিয়েছিলো সেই শনিবারই আর একদিন আমাকে হাওড়ায় নামিয়ে দিয়ে তা’র নিঃশব্দ অট্টহাস্যে মধ্যাহ্ন আকাশ প্রতপ্ত ক’রে তুল্‌লে। এই তো গেল আমার ভ্রমণ-বৃত্তান্ত। কিন্তু তুমি যখন হিমালয়-যাত্রায় বেরিয়েছিলে তখন নক্ষত্র-সভায় তোমার সম্বন্ধেও তো ভালো রেজোল্যুশন্ পাস্ হয়নি। আমরা সবাই স্থির ক’র্‌লুম, গিরিরাজের শুশ্রূষায় তুমি সেরে আস্‌বে। কিন্তু তারাগুলো কেন কুমন্ত্রণা ক’র্‌তে লাগ্‌লো। আমার বিশ্বাস কী জানো, অনেকগুলো ঈর্ষাপরায়ণ তারা আছে, তা’রা তোমার ভানুদাদাকে একেবারেই পছন্দ