এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
ভানুসিংহের পত্রাবলী
যদি মানুষ হতুম তা হ’লে সকাল থেকে রাত্তির পর্য্যন্ত ঐ রকম মুচ্মুচ্ মুচ্মুচ্ মুচ্মুচ্ ক’রে কেবলি পাঁপরভাজা খেতুম; ইতিহাসও প’ড়্তুম না, ভূগোলও প’ড়্তুম না—শিশু মহাভারত, চারুপাঠের কোনো ধার ধার্তুম না। যা হোক্, যখন দুখানা পাঁপর-ভাজা এবং কিছু রুটি ও চাট্নি খেয়েছি, এমন সময়—কিন্তু ডালটা খাইনি, সেটা নার্কোল দিয়ে এবং অনেকখানি কুয়োর জল দিয়ে তৈরি করেছিলো তাতে ডালের চেয়ে কুয়োর জলের স্বাদটাই বেশি ছিল, আর তরকারিটাও খাইনি —কেন না, আমি মোটের উপর তরকারি প্রভৃতি বড়ো বেশি খাইনে। যাই হোক্, যখন রুটি এবং পাঁপরভাজা খাওয়া প্রায় শেষ হ’য়েচে, এমন সময়ে ডাকহরকরা আমার হাতে কাশীর ছাপমারা একখানা চিঠি দিয়ে গেল।
২৯
শান্তিনিকেতন
দেরি ক’রে তোমার চিঠির উত্তর দিয়েচি—তুমি আমাকে এত বড়ো অপবাদ দেবে আর আমি তাই