পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অনার্য তাহাদের মধ্যে অনেকে দাসরূপে আর্যসমাজভুক্ত হইয়া । কমে শূদ্র নামে পরিচিত হয়। আবার অনেক অনার্য জাতি দুর্গম পর্বতে বা অরণ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া আত্মরক্ষা। করে। ইহাদের বংশধরেরা এখনও সেই সব অঞ্চলে বাস করে। | আর্যগণের প্রাচীনতম গ্রস্থ বৈদিক সাহিত্যে এই সকল জাতি দাস নিষাদ দ্য প্রভৃতি নামে অভিহিত। আর্যগণ ঘৃণাসহকারে তাহাদের কুৎসিত চেহারা, কৃষ্ণবর্ণ, অবােধ্য ভাষা ও ধর্মহীনতার উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু তাহারা যে শক্তিশালী ছিল এবং তাহাদের পুর ও দুর্গ অধিকার করা যে আর্যগণের পক্ষে খুব সহজসাধ্য হয় নাই তাহারও পরিচয় ঐ সাহিত্যে পাওয়া যায়। | বর্তমান কালের কোল, ভীল, সঁওতাল, মুণ্ডা, শবর, পুলিন্দ, কিরাত, খাসিয়া, ভুটিয়া, নাগা প্রভৃতি বহু জাতি প্রাচীন অনার্য জাতির বংশধর। তাহাদের ভাষা আর্যভাষা হইতে বিভিন্ন এবং শরীরের গঠনেও অনেক প্রভেদ। নৃতত্ত্ববিদের। শারীরিক গঠন অনুসারে এই সমুদায় লােককে কয়েকটি বিশিষ্ট জাতিতে (race) শ্রেণীভুক্ত করিয়াছেন। আধুনিক কালে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে যে সমুদায় ভাষা প্রচলিত তাহার অধিকাংশই বাংলা, অসমীয়া, ওড়িয়া, হিন্দী, পাঞ্জাবী, গুজরাট, রাজস্থানী, কাশ্মীরী প্রভৃতি আর্যগণ যে ভাষায় বেদ লিখিয়াছেন তাহা হইতে উদ্ভুত। ইওরােপের প্রাচীন ও বর্তমান বহু জাতির এবং ইরানীয় (পারসীক) জাতির ভাষা ও বেদের ভাষা—একই মূল ভাষার শাখা-প্রশাখা মাত্র। এই জন্য এই মূল ভাষাকে ইন্দো-ইওরােপীয় ও ইন্দো-ইরানীয় বলে। কিন্তু পূর্বোক্ত অনার্যগণের ভাষা এই গােষ্ঠীর অন্তভুক্ত নহে। তামিল তেলুগু, কানাড়ী, মালয়ালম প্রভৃতি ভাষাও মূলতঃ অনার্য ভাষা। অনার্য ভাষার সহিত আর্যভাষার বহু সংমিশ্রণ। ঘটিয়াছে। আর্য ভাষাগুলিতেও কতকগুলি অনার্য শব্দ প্রচলিত হইয়াছে। এইরূপে এক দিকে যেমন অনার্য জাতির ধর্ম সমাজ ও সংস্কৃতি বহুল পরিমাণে আর্যগণের দ্বারা প্রভাবান্বিত হইয়াছে, তেমনি আর্য ধর্ম এবং সমাজেও অনার্য জাতির প্রভাব স্পষ্টরূপে বিদ্যমান। রমেশচন্দ্র মজুমদার এবােধ ভৌমিক অনার্য ভাষাবিজ্ঞানে অনার্য ভাষা দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়। এক অর্থে অনার্য ভাষা বলিতে যে ভাষা আর্য ( অর্থাৎ ইন্দো-ইওয়ােপীয় মূল ভাষার ইন্দো-ইরানীয়) শাখা প্রসূত নয় ; অর্থাৎ দক্ষিণ ও মধ্যভারতে প্রচলিত________________

অনুরাধপুর দ্রাবিড় গােষ্ঠীর ভাষা, উত্তরভারতে ও মধ্যভারতে প্রচলিত অস্ট্রিক গােষ্ঠীর ভাষা এবং হিমালয়ের পাদভূমিতে প্রচলিত ভােটচীনীয় গােষ্ঠীর ভাষা। দ্বিতীয় অর্থে অনার্য ভাষা বলিতে সেই ভাষাকেই বুঝায় যে ভাষা ইন্দো-ইওরােপীয়, দ্রাবিড়ীয় অথবা ভােটচীনীয় গােষ্ঠীর ভাষা নয়, অর্থাৎ অস্ট্রিক গােষ্ঠীর ভাষা। এই গােষ্ঠীর ভাষার মধ্যে পড়ে সঁওতালী, মুণ্ডারী, খাসী ইত্যাদি। সুকুমার সেন | অনিরুদ্ধ ভট বল্লাল সেনের গুরু ও ধর্মাধ্যক্ষ ( ১২শ শতাব্দী)। ইহার রচিত ‘পিতৃদয়িতা’ ও ‘হারলতা নামক দুইখানি গ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে। বল্লাল সেন তাহার ‘দানসাগর’ গ্রন্থে ইহার নাম শ্রদ্ধার সহিত উল্লেখ করিয়াছেন। এই গ্রন্থ হইতে জানা যায়- ইনি বরেন্দ্র| ভূমিতে প্রসিদ্ধ লােক ছিলেন। নিজ গ্রন্থের পুষ্পিকায় ইনি চাম্পাহীর বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন। হারলতায় বলা হইয়াছে ইনি গঙ্গাতীরবর্তী বিহার পট্টকের অধিবাসী ছিলেন। চিন্তাহরণ চক্রবর্তী | অনিল পুরাণ ধর্মমঙ্গল দ্র অনুভু ( perigee) জ্যোতির্বিজ্ঞানে উপগ্রহের উপবৃত্তাকার কক্ষপথের মধ্যে অবস্থিত গ্রহ হইতে নিকটতম | বিন্দুকে অভূ বা পেরিজি বলা হয়। যেমন পৃথিবী হইতে চন্দ্রের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দু বা পেরিজির | দূরত্ব হইল ৩৫৬৪০০ কিলােমিটার ( ২২১৪৬৩ মাইল ) ( অপভূর দূরত্ব ৪০৬৬৮৮ কিলােমিটার বা ২৫২৭১০ | মাইল )। ভ্যানগার্ডের কক্ষপথের অনুভূর দূরত্ব ৩১২ কিলােমিটার ( ২০০ মাইল ) এবং কৃত্রিম উপগ্রহ এক্সপ্লোরারের পৃথিবী হইতে নিকটতম দূরত্ব বা অনুভূ হইল ৩৫৪ | কিলােমিটার ( ২২০ মাইল)। গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্য অনুভূতিনাশক ঔষধ অ্যানেসথেসিয়া দ্র অনুমতিকল্প দশবখ নি দ্র অনুরাধপুর একাদিক্রমে প্রায় পনরশত বৎসরকাল। | সিংহলের রাজধানী ছিল। রাজা পাকাভয় খ্রষ্টপূর্ব | চতুর্থ শতাব্দীতে অনুরাধপুর পত্তন করেন এবং রাজধানী

এখানে স্থানান্তরিত করেন। উপযুপরি কয়েকজন। রাজার প্রযত্নে নগরের সৌষ্ঠব সম্পাদিত হয়, এমন কি
৫৪