পাতা:ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর গ্রন্থাবলী.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখবন্ধ । ev . ৮০ বৎসর পূর্বে বাঙ্গালা ভাষার কাব্যের ও পদ্যের যথেষ্ট আদর গৌরব ছিল। মধ্যে আর সেরূপ ছিল না। পূর্বে অনেক অনেক ধনসম্পন্ন ভূম্যধিকারী ও রাজগণ নুতন নুতন কাব্য রচিত হইলে পরম সমাদরে গ্রহণ ও পাঠ করিয়া তাহার রসাম্বাদন করিতেন ; তৎকালে মুদ্রািট ন্ত্রের এরূপ কৌশল ছিল না। এই নিমিত্ত সেই সকল কাব্য হস্ত লিখিত হইয়া ধনিবর্গের পুস্তকাগারে সযত্নে রক্ষিত হইত। সেই সকল কাব্যামোদী ভূম্যধিকারী ও রাজগণ কবিদিগকে যথেষ্ট উৎসাহ দিতেন, মৰ্য্যাদা করিাতেন এবং সর্বতোভাবে প্ৰতিপালন করিতেন । এই নিমিত্তে ঊর্তাহারা ও প্রোৎসাহিত হইয়া উত্তমোত্তম রাসভােব পরিাপুরিত মনোহর কাব্য-কদম্ব রচনা পূর্বক স্বীয় স্বীয় কবিত্বশক্তিকে পরিতৃপ্ত করিতে পারিতেন। কিন্তু এক্ষণে আর সেরূপ কাল নাই-সেরাপ উৎসাহদাতা নাই-সেম্বরূপ কিছুই নাই। দুর্ভাগ্যবশতঃ, উৎসাহদাতার সংখ্যা দিন দিন ক্রমশঃ নূ্যন হইয়া আসিতে, লাগিল। গুণগ্ৰাহী সমা- ? জ্যের তিরোভাব হইয়া দোষগ্রাহীদের আবির্ভাব হইল। এই হেতু কিছুকাল কাব্যের আদর তিরোহিত হইয়াছিল। এক্ষণে আবার বাঙ্গালা দেশের সৌভাগ্য-শশধর বহুদূরে কিঞ্চিৎ উদিত হইয়া সহৃদয় রসজ্ঞদিগকে আশ্বাস দিতেছে, পরমেশ্বর করুন, যেন ঐ প্রার্থনীয় শশধর ক্রমে ক্রমে আমাদের মস্তকের উপর আসিয়া নিৰ্ম্মল করণ বিতরণ করে। . তাহা হইলেই আমাদের মনোরখ পূর্ণ হইবে। এক্ষণে অনেকে মাতৃভাষার প্রতি যত্ন করিতেছেন, অনেক নব্য ভাবু রসজ্ঞেরা গদ্য রচনায় মনঃসংযোগ করিয়াছেন, অনেকে তাহা অাদর পূর্বক গ্রহণ ও পাঠ করিতেছেন, সুতরাং বোধ হইতেছে, এরূপ গদ্যের অনুশীলন আর কিছুকাল থাকিলেই বাঙ্গালা ভাষার অঙ্গসৌষ্ঠব