পাতা:ভারতবর্ষে.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কলিকাতা, দার্জ্জিলিং ও সিংহল।
১৫

করে। ইহার যখন চলা-ফেরা করে তখন যেমন চক্ষের তৃপ্তি হয়, এমন আর কিছুতে হয় না। মাথায় পিতলের ঘড়া লইয়া যেরূপ ইহারা পশ্চাতে একটু হেলিয়া সটান-ভাবে দণ্ডায়মান হয়, তাহাতে তাহাদের সুন্দর গঠন-রেখাসকল দিব্য প্রকাশ পায়। বিচিত্ররঙের উজ্জ্বলতা সত্ত্বেও, উহাদিগকে দেখিয়া পুরাকালের গ্রীক রমণীদিগকে মনে পড়ে। সেই একই প্রস্তরমূর্ত্তিবৎ দেহভঙ্গী, সেই একই অঙ্গভঙ্গীর প্রশান্ত ভাব—সেই একই মুক্ত বায়ুতে জীবনযাপন—সেই একই ছোট ছোট মৃত্তিকা-নির্ম্মিত ঘরে বাস। এই সকল ঘর নিম্ন, ঠাণ্ডা, সাদা ধব্‌ধবে, চৌকোণা ও আসবাব বিরহিত; এবং তাহাদের ছায়ায় বসিয়া রমণীগণ সুতাকাটা কার্য্যে নিযুক্ত।”

 গ্রন্থকার পণ্ডিচারিতে ডুপ্লের প্রস্তরমূর্ত্তি দেখিয়াছিলেন, এবং তাহার উল্লেখ করিয়া তিনি এই কথা বলেন, “একজন ইংরাজ আমাকে বলেন, ডুপ্লে একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি—তিনি আমাদের কিছু কষ্ট দিয়া গিয়াছেন। সীমান্ত-প্রদেশের চতুর্দ্দিকে শুল্ক-আদায়ের আড্‌ডা স্থাপন করিতে আমরা বাধ্য হইয়াছি, এবং আমাদের যত চোর সব পলাইয়া তোমাদের ওখানে বাস করে। এই উপনিবেশটি রাখিয়া তোমাদের কি লাভ? একজন ফরাসি তাহার উত্তরে এই কথা বলেন,—লাভ আর কিছুই নয়, ইহার অর্থ এই মাত্র, ভারতবর্ষে ডুপ্লের একটি প্রস্তরমূর্ত্তি থাকা আবশ্যক এবং তাহা তাহার নিজ-স্থানেই স্থাপিত হওয়া প্রার্থনীয়।”