পাতা:ভারতবর্ষে.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



সিংহলে বৌদ্ধধর্ম্ম।
২৩

বুদ্ধিবৃত্তি; ইহারাও দক্ষিণ প্রদেশের অনিশ্চিত মৃগতৃষ্ণিকাসম। চতুর্থ স্কন্ধে মানসিক ও নৈতিক সংস্কারসমূহ—ইহা কদলীকাণ্ডের ন্যায় অসার। শেষ কথা, চিন্তাসকল উপছায়ামাত্র—ঐন্দ্রজালিক মায়ামাত্র। ‘গৌতম বলিলেন, হে ভিক্ষুগণ, ভিন্ন ভিন্ন মতাবলম্বী পণ্ডিতেরা যে ভাবেই আত্মাকে চিন্তা করুন না কেন, এই পঞ্চ স্বন্ধের অন্যতম স্কন্ধকে, কিম্বা তাহদের সমষ্টিকেই তাহারা আত্মা বলিয়া কল্পনা করেন। এই প্রকারে, হে ভিক্ষুগণ, যাহারা বৌদ্ধ হয় নাই, কিম্বা যাহারা বৌদ্ধধর্ম্ম বুঝিতে পারে না, তাহারা কখন মনে করে, আত্মা ও ভৌতিক গুণ একই; কখনও বা মনে করে, আত্মা ও ইন্দ্রিয়-বোধ একই; এই প্রকারে আত্মাকে অপর শেষ তিনটি স্কন্ধরূপেও কল্পনা করিয়া থাকে। এই প্রকারে, একটার পর আর একটা স্কন্ধ কল্পনা করিয়া, অবশেষে এই সংস্কারটিতে উপনীত হয়—সে কি?—না, আমি আছি, আমার আত্মা আছে; আমি থাকিব কিম্বা আমি থাকিব না; আমার ভৌতিক গুণ থাকিবে কিম্বা থাকিবে না; আমার সংস্কার সকল থাকিবে কিম্বা থাকিবে না। কিন্তু বুদ্ধের জ্ঞানবান শিষ্যেরা, পঞ্চেন্দ্রিয়ের অধিকারী হইলেও তাঁহারা অজ্ঞান হইতে মুক্ত এবং তাহারা সত্যে উপনীত হইয়াছেন। সেইজন্য তাঁহাদের সংস্কার অন্যরূপ;—আমি আছি, আমার আত্মা আছে, আমি থাকিব কিম্বা থাকিব না, এবম্বিধ সংস্কার তাহাদের মানসক্ষেত্রে উপস্থিত হয় না।’ ডেকার্ট বলিয়াছেন, আমি চিন্তা করিতেছি, অতএব আমি আছি। কিন্তু বুদ্ধদেব হইলে এইরূপ বলিতেন;—আমি চিন্তা করিতেছি, অতএব আমি নাই। কারণ, চিন্তা কাহাকে বলে? কতকগুলি পরিবর্তনপরম্পরা—বিভিন্ন ঘটনার পারম্পর্য্য ভিন্ন ইহা আর কিছুই নহে। আধুনিক মনস্তত্ত্ববিৎ পণ্ডিতদিগের ত এই মত। ইংলণ্ডের জন