পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

appeared unpleasing, although under stress of that aesthetic satisfaction the unpleasure gradually changed to pleasure” (p. 4). তাৎপর্য এই যে কর্কশ স্বরের বিন্যাসে একটি রমণীয় সুরলহরী নির্ম্মাণ করা যায়। রমণীয় বা সৌন্দর্য্য সুখের ব্যাপ্য ধর্ম্ম নহে, অর্থাৎ যেখানে রমণীয়তা বা সৌন্দর্য্য বোধ থাকিবে সেইখানেই যে সুখবোধ থাকিবে এমন বলা যায় না; যদিও রমণীয়তা হইতে ক্রমশঃ সুখবোধ উৎপন্ন হইতে পারে। জগন্নাথ তাঁহার রসগঙ্গাধরে বিশিষ্ট চমৎকারিত্বকে কাব্যত্বের প্রযোজক বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। “স্ববিশিষ্টজনকতাবচ্ছেদকার্থপ্রতিপাদকতাসংসর্গেণ চমৎকারত্ববত্ত্বমেব বা কাব্যত্বম”। এখানে তিনি স্পষ্টই বুঝিয়াছিলেন যে সৌন্দর্যের মধ্যে আহ্লাদ ছাড়া আর একটি বিশেষ মনোভাব আছে যাহা সৌন্দর্য্যের প্রযোজক, তাহাকেই তিনি চমৎকারত্বরূপে নির্দ্দেশ করিয়াছেন এবং এই চমৎকারত্বকে একটি লোকোত্তর অনুভব বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কোন একখানা ছবি দেখিলে শিশুরা তাহার বর্ণের মনোহারিত্বে মুগ্ধ হইতে পারে, কিন্তু বিবেচক চিত্রানুরাগীরা রং দেখিয়া তুষ্ট হয় না, রংগুলির পরস্পর সম্পর্কে যে অপূর্ব্বতা ও চমৎকারিতা হয় তাহা দেখিয়াই চিত্রের প্রশংসা করেন। এই জন্যই এই চমৎকারিত্বকে সৌন্দর্যগত বিশেষ মনোভাব বলিয়া বলা যায়। ইংরাজীতে বলিতে গেলে এই চমৎকারিত্বই যথার্থ aesthetic state। এই চমৎকারিত্বের প্রযোজক হিসাবে ব্যক্ত বা অব্যক্ত হিসাবে অনেক