পাতা:ভারতীয় সাধক - শরৎকুমার রায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So ङांदडो সাধক ক্ষীণাঙ্গ সিদ্ধার্থের ধানসুন্দব মুখের অপূৰ্ব জ্যোতিঃ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন এবং দৌড়িয়া গিয়া সুজাতাকে কহিলেন, “সখি, ত্বরায় চলিয়া আইস, দেবতা প্ৰসন্ন হইয়। তোমার ভক্তি-অৰ্ঘ্য গ্ৰহণের জন্য সশরীরে অবতীর্ণ হইয়াছেন।” অষ্টচিত্তে সুজাত দ্রুতপদে তরুমূলে । উপস্থিত হইয়া শ্ৰদ্ধাবিকম্পিত কবে দেবতাব হন্তে পায়সায়ের পাত্ৰ প্রদান করিলেন। “তােমার কামনা পূর্ণ হউক” বলিয়া সিদ্ধাৰ্থ তাঁহার মহৎ দান গ্ৰহণ করিলেন। সুস্বাঢ় পায়সান্ন, ভোজন কবিয়া তীক্ষার দুৰ্বলদেহে বলেব সঞ্চাল চষ্টল। তিনি মধুবকণ্ঠে সুজাতাকে কহিলেন, “হে ভদে, আমি দেবতা নাই, তোমাবাই মত মানুষ ; তােমার মঙ্গল হন্তেব মহৎ দান আজ আমার প্রাণরক্ষা করিল, মনে নবীন উৎসাহেব সঞ্চাব করিয়া দিল। আমি যে সতে্যুব সন্ধানে রাজ্যসুখ ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হইয়াছি, তোমার এই অন্ন সেই সত্যলাভের সহায় হইল । আমাৰ মনে আজ দৃঢ় ধাবণা হইয়াছে যে, আমি সেই সত্য লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতে পারিব । তোমার কল্যাণ হউক ৷” এই ঘটনাব পরে সিদ্ধাৰ্থ নিয়মিত পানাঙ্গাবে প্ৰবৃত্ত হটলেন । র্তাহাব এই পবিবৰ্ত্তন পঞ্চাশিষ্যেব মনে গভীর সন্দেহের সঞ্চাব কবিল । তাহারা ভাবিলেন, সিপাৰ্থ তাঙ্কাল জীবনের মহৎ উদ্দেশ্য বিস্মত হাইস সাধনাব সত্যপথ হইতে দুবে সবিয়া যাইতেছেন। এতদিন তাহারা যাহাকে গুরু বলিয়া মানিয়াছেন, এখন তাঁহাকে ত্যাগ করিয়া চলিলেন । বিমুখ শিষ্যদেব এই শ্ৰদ্ধাহীনতা সিদ্ধার্থকে পীড়িত করিল ; অন্তরের সেই বেদন ঝাড়িয়া ফুেলিয়া তিনি প্ৰশান্তচিত্তে একাকী মহাসাধনায় প্ৰবৃত্ত হইবােব জন্য প্ৰস্তুত হইলেন । নৈরাশ্যের মেঘ কাটিয়া যাওয়ায় সিদ্ধার্থের চিত্ত আনন্দে ভরিয়া উঠিল। তীঃার প্রদায়ের আনন্দে বিজ্ঞাপ্রকৃতি প্ৰসন্নমূৰ্ত্তি ধারণ করিল। তিনি যখন মৃদুলগমনে বোধিদ্রুমের দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন, তখন