পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উমৃগ «ፆ¢ উল্লিখিত স্থানের পূর্বদিকে ঘৃনাতিরেক পঞ্চাশং হস্ত দূরে একটা প্রস্তরনিৰ্ম্মিত মহাদেব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে। এই মন্দির যে সমুদয় পাষাণখণ্ডে নিৰ্ম্মিত, তাহ কোনরূপ যোজক পদার্থের দ্বারা পরস্পর সংলগ্ন নহে। এতদ্বতিরেকে পৰ্ব্বত-পৃষ্ঠের পূর্ব প্রান্তে আরও কতকগুলি ভগ্ন মূৰ্ত্তি প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়। সেই সমুদয়ই ভৈরবেন্দ্ৰ নাথ এবং তদীয় পূর্ব পুরুষগণের কীৰ্ত্তিচিহ্ন। এই সমস্ত কীৰ্ত্তি-মালা তাহাদিগের যশোরাশি অদ্যাপি সৰ্ব্বজন সমাজে প্রচার করিতেছে। উল্লিখিত পৰ্ব্বতোপরি ব্যাঘ্ৰাদি শ্বাপদ জন্তুর সচরাচর গতিবিধি আছে বলিয়া পৰ্ব্বত প্রান্তদেশস্থ পল্লী নিবাসী লোকেরা কহে। এই কারণ বশতঃ কোন ব্যক্তিই একাকী ঐ পৰ্ব্বতের উপর গমন করিতে সম্মত হয় না। এই পৰ্ব্বতপ্রান্তে বহুকাল অবধি প্রতি বৎসর মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে দুই সপ্তাহ ব্যাপী এক মেলা হয় বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায়। লক্ষণ পাল নামক জনৈক নৃপতি, আদিম-নিবাসিগণের সহিত যুদ্ধকালে রণভূমিতে জীবন বিসর্জন করিয়াছিলেন বলিয়া মধ্য বিভাগের আন্তর্গত "সরগুজা” অঞ্চলস্থ পৰ্ব্বত-গাত্রে খোদিত আছে—এইরূপ জ্ঞাত হওয়া যায়। ক্যাপ্‌টেন্‌ কিটোর মতে তিনি ভৈরবেন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষগণের মধ্যে তৃতীয়ব্যক্তি লক্ষণপাল। উমৃগার একবিংশতি ক্রোশ পূর্বদিগ্‌বৰ্ত্ত “ফতেপুর” নামক জনপদের সন্নিহিত যে কতিপয় নিকেতনাদির ধ্বংসাবশেষ ও একটা পুষ্করিণী এবং তৎতাঁরদেশে এক শিব-মন্দির পরিলক্ষিত হয়, সেই সমুদয় ভৈরবেন্দ্রনাথের পূৰ্ব্ববর্তী ষষ্ঠপুরুষ রাজা সিন্ধুপাল কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। এতদ্ব্যতীত উমৃগার উত্তর পশ্চিম কোণে, নূ্যনাতিরেক দুইক্রোশ দূরবর্তী “সন্ধৈল” নামক প্রাচীন গ্রাম-মধ্যে অবস্থিত শিবমন্দিরটাও উক্ত উমৃগাধিপতি সিন্ধুপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত—এইরূপ কথিত হয়। এই সমুদয় পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ভৈরবেন্দ্র ফতেপুর ও সন্ধৈল