পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NøS কেসমূপ মূৰ্ত্তিটা চতুভূজ বিশিষ্ট, এবং ইহার আয়তন তিন হস্তের কিঞ্চিদধিক উচ্চ হইতে পারে। এই প্রদেশের লোকেরা অনভিজ্ঞতা বশতঃ নানা মূৰ্ত্তিকে প্রায়শঃ নানা প্রকার অযথা আখ্যা প্রদান করিলেও ইহা তারাদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি হওয়া অসম্ভব নহে। * বর্ণিত তারাদেবী নামে অভিহিত মূৰ্ত্তির শরণাপন্ন হইলে সৰ্ব্ববিষয়ে মনস্কামনা সিদ্ধ হয়—এইরূপ সৰ্ব্বসাধারণের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া নানাপ্রকারের ব্যাধিগ্রস্ত বহুলোক রোগ-মুক্তি কামনায় এবং এতদ্ব্যতীত অনেকে অন্যান্য বিষয়ের সিদ্ধি কামনাতেও নানা অঞ্চল হইতে এই স্থানে আগমন করতঃ ছাগ বলিদান পূর্বক উল্লিখিত মূৰ্ত্তির পূজা করে বলিয়। স্থানীয় নিবাসিগণ কহে এবং ইহা দৃষ্টও হয়। বর্ণিত দেব-মন্দিরের সম্মুখে অল্পমাত্র দূরে যে এক স্ববৃহৎ অশ্বখ বৃক্ষ আছে, তাহার মূলদেশ ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত বেদীর দ্বারা চতুষ্পাশ্ব বেষ্টিত। ঐ বেদীর পৃষ্ঠদেশে নানা আকার প্রকারের বহুসংখ্যক প্রস্তর-মূৰ্ত্তি পূঞ্জীকৃত রহিয়াছে। ঐ সমুদয়ের অধিকাংশ মূৰ্ত্তিই ভগ্ন এবং বিশেষ উল্লেখ যোগ্য নহে। যে একটী শিব-শক্তির প্রতিমূৰ্ত্তি ঐ সমস্ত মূৰ্ত্তির মধ্যে সংস্থাপিত আছে—যদিও মহাদেবটীর মস্তক বিহীন, তথাপিও উহাই এই স্থানে সমাহৃত মূর্তি নিচয়ের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য । তথা কথিত তারাদেবী-মন্দিরের সম্মুখবর্তী বেদীর পৃষ্ঠদেশস্থিত যে সমুদয় মূৰ্ত্তির বিষয় উল্লেখ করা হইয়াছে, তন্মধ্যস্থ অতি সামান্য একটা ভগ্নমূৰ্ত্তিও স্থানান্তর করিতে পল্লীনিবাসিগণ কোন মতেই সন্মত হয় না। কেবল যে অত্রস্থ ব্যক্তিগণ এইরূপ করিয়া থাকে তাহা নহে,—গয়া জিলার অন্তর্গত অপরাপর অঞ্চল হইতেও কোন প্রকারের প্রাচীন মূৰ্ত্তি কিংবা পুরাকালের প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত নিকেতনাদির ভগ্ন অংশ তৎপ্রদেশস্থ লোকের নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া দুষ্কর ; এই বিষয় পূর্বেও কথিত হইয়াছে। এই স্থান হইতে অল্পদুরে, পশ্চিমদিগবর্তী এক প্রাচীন প্রকাণ্ড বটবৃক্ষের নিম্নদেশে, একটা বৃহৎ আয়তনের অষ্টাদশ-ভুজ-বিশিষ্ট যজ্ঞোপবীত