পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতামারী গয়া নগরী এবং তৎপূর্বদিশ্বত্তী নোয়াদ নামক উক্ত নগরীর উপবিভাগ যে সুপ্রসিদ্ধ রাজবত্বের দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত, তাহার দেড় মাইল দক্ষিণে ঐ উপবিভাগের পশ্চিমদিশ্বত্তী এক প্রান্তর মধ্যে “সীতামারী” নামে খ্যাত একটা প্রকাণ্ড গণ্ডশৈল অবস্থিত। এই প্রদেশে ইহার তুল্য এত বৃহৎ গণ্ডশৈল আর একটীও নাই। এতদ্ব্যতিরেকে এই স্থানে অপর কোন পাষাণস্তৃপ কিংবা শৈলমাল দৃষ্টিপথে পতিত হয় না। উল্লিখিত গণ্ডশৈল-গাত্রে যে এক গুহ খনিত আছে, তদভ্যন্তরদেশ এই পুস্তকে বর্ণিত ‘ বরাবর” পৰ্ব্বতস্থিত গুহা নিচয়ের ন্যায় মস্থণীকৃত ; কিন্তু তৎতুল্য চাক্‌চিক্যশালী নহে। অত্রস্থ জনসাধারণ মধ্যে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত অাছে যে, প্রজারঞ্জনার্থে শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক সীতাদেবী পরিত্যক্ত হইলে, তদীয় বনবাস কালে উপরি বর্ণিত কন্দরমধ্যেই স্ত্রীরামচন্দ্রের যমজ তনয় “লব” ও “কুশ” প্রসূত হইয়াছিলেন। প্রাগুক্ত গুহার অভ্যন্তরে ক্ষুদ্রাকারের তিনটা মূর্তি পরিলক্ষিত হয়। তন্মধ্যস্থ কিঞ্চিৎ বৃহৎ মুর্ভিটকে সীতার এবং ক্ষুদ্র দুইটকে লব ও কুশের মূৰ্ত্তি বলিয়া লোকে নির্দেশ করে। আবার কেহ কেহ উক্ত ত্রিমূর্তিকে রাম, লক্ষণ ও সীতার প্রতিমূর্তি বলিয়াও আখ্যাত করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মূৰ্ত্তিত্ৰেয়ই পুরুষের ; ইহাতে অনুমিত হয় যে, উক্ত ত্রিমূর্তি অনুচরসহ বুদ্ধদেবের হইবে ।