পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫé o লোহিভাঙ্গ হুগ অধুনা রোহতাস নামে খ্যাত এই দুর্গ হইতে যে এক প্রস্তর ফলক প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহাতে উৎকীর্ণ লিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, মহানায়ক প্রতাপ ধবল কর্তৃক এই স্থানে কতিপয় কীর্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। দুর্গটির সম্বন্ধে এতদতিরিক্ত আর বিশেষ কিছুই জ্ঞাত হওয়া যায় না ; ইহার পূর্ব অবস্থা ঘোর অন্ধকারে আবৃত। হুমায়ুন বাদশাহের ভারতবর্ষে রাজত্বকালে যে সময় পাঠানের রাষ্ট্রবিপ্লব আরম্ভ করে, সেই সময় উক্ত দুর্গ তদানীন্তন হিন্দু দুর্গাধিপতির হস্তচু্যত হইয়া পাঠানগণের করগত হয়; তদবধিই ইহার প্রকৃত ইতিবৃত্ত প্রাপ্ত হওয়া যায়। o খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা বাবর বাদশাহ কালকবলে পতিত হইলে তদীয় পুত্র হুমায়ুন দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তৎকালে হুমায়ুন ও র্তাহার ভ্রাতার মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হইলে মোগল দরবারে নানা বিষয়ে ঘোর বিশৃঙ্খলা ঘটে। হুমায়ুনের রাজকাৰ্য্যে এবংবিধ অব্যবস্থা দৃষ্টে মোগলসৈনিক বিভাগে নিযুক্ত সস্রাম্ নিবাসী ফরিদ খাঁ বা শের র্থ উপনামধার স্বর বংশীয় জনৈক উৎসাহী পাঠান যুবকের মনে উদিত হইল যে, এই স্থযোগে ভারতবর্ষে নব প্রতিষ্ঠিত মোগল সাম্রাজ্যের উচ্ছেদ সাধনপূর্বক অনায়াসেই পাঠান সাম্রাজ্য পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। তদুদ্দেশ্যে শের খ৷ ৱদ্ধ পরিকর হইয়া হুমায়ুনের অধীনস্থ কার্য্য পরিত্যাগপূর্বক মোগলদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিলে মোগল ও পাঠানের মধ্যে তুমুল সংগ্রাম আরম্ভ হয়। তৎকালে শের খাঁ যে প্রকার কৌশল অবলম্বন পূর্বক বর্ণিত রোহিতাশ্ব দুর্গ হস্তগত করিয়াছিল,—সেই বিষয় মুসলমান ইতিহাস লেখকগণ কর্তৃক পারস্য ভাষায় লিখিত ভারতবর্ষের ইতিহাস সমূহে যেরূপ উল্লেখ আছে, তাহার মৰ্ম্ম নিম্নে বর্ণিত হইল । o হুমায়ুনের সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইয়া শের র্থ নিশ্চিন্ত মনে যুদ্ধে রত থাকিবার জন্য স্বীয় পরিজনবর্গ ও নানা দেশ হইতে লুষ্ঠিত ধন রত্ন কোন নিরাপদ স্থানে স্বরক্ষিত করিবার উপায় চিন্তা করিতে থাকে। এই কার্যের জন্য রোহিতাশ্ব গড় তাহার মনঃপূত হয়। কিন্তু চাতুরী ব্যতিরেকে বলপূর্বক