পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোহিভঙ্গ ভুগা <ମୃଣ୍ମ করতঃ ভারত ভূমি হইতে বিছুরিত করিয়া দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণপূর্বক শের শাহ নাম ধারণ করে । কেবল এই একটা কার্য্যের জন্য শের শাহের নাম কলঙ্কিত। নতুবা— পান্থনিবাস নিৰ্ম্মাণ, পরিশ্রান্ত পথিকগণের বিশ্রামার্থ পথপার্শ্বে বৃক্ষশ্রেণী রোপণ ও পিপাসা নিবারনীৰ্থে কূপ খনন প্রভৃতি বহুবিধ সংকাৰ্য্য তৎকর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছিল। তৎসমুদয়ের মধ্যে অধুনা গ্র্যাগুটুঙ্ক রোড, নামে পরিচিত যে স্থদীর্ঘ রাজবত্ব বঙ্গদেশ ও পঞ্চনদ প্রদেশকে সংযুক্ত করিয়াছে, তাহা ভারতভূমিতে স্থপ্রসিদ্ধ। স্বনামধন্য সম্রাট আকৃবর কর্তৃক ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্য পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইলে, প্রাগুক্ত রোহিতাশ্ব দুগ মোগল অধিকারভুক্ত হয় । অধুনা তদভ্যন্তরে যে সমুদয় সৌধমালা প্রভৃতি বর্তমান আছে, তাহার অধিকাংশই সেই সময়ে নিৰ্ম্মিত । অম্বরের (অমের) অধিপতি রাজা মানসিংহ শাহানিশাহ আকবর কর্তৃক স্থবে বাঙ্গল, বিহার ও উড়িষ্যার শাসনকর্তা পদে নিযুক্ত হইয়া আগমন করিলে, উক্ত রোহিতাশ্ব-দুগ মৃদৃঢ় ও দুর্ভেদ্য অবলোকন করিয়া তাহাতে বাস করিতে মনস্থ করেন । তদুদ্দেশ্যে তিনি ইহার সম্পূর্ণরূপ জীর্ণসংস্কার কুরাইয়া—তদভ্যন্তরে বাসোপযোগী নিকেতনাদি নিৰ্ম্মাণপূর্বক বাস স্থাপন করেন । তৎকালে নিৰ্ম্মিত ' দরবার-ই-আমৃ” নামে খ্যাত প্রকাণ্ড রাজসভাভবন “শিশমহল” নামক অন্তঃপুরস্থ তদীয় শয়নাগার, “পূজাগৃহ” “বারদর” বা ‘রঙ্গমহল” ইত্যাদি অট্টালিকারাজি ও কতিপয় বৃহৎ তোরণ অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে। তৎসমুদয়ের মধ্যে দুই পাশ্বে দুইটী হস্তিমূৰ্ত্তি শোভিত যে এক বৃহৎ তোরণ রাজঅন্তঃপুরের প্রবেশপথে অবস্থিত, ইহা “হার্থীয় পুল” নামে প্রসিদ্ধ এবং ১৫৯৭ খৃষ্টাব্দে অম্বররাজ মানসিংহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া তোরণ দ্বারের উৰ্দ্ধদেশস্থ উৎকীর্ণ লিপি হইতে অবগত হওয়া যায় । রাজা মানসিংহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত রোহিতাশ্ব দুর্গ-মধ্যস্থ বর্ণিত নিকেতনাদি