পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

trS్చ ভোজপুর শাসন করিয়াছিলেন, ইতিহাস হইতে এইরূপ জ্ঞাত হওয়া যায়। কথিত আছে যে, তিনি একজন স্থবিখ্যাত বিদ্যোৎসাহী ভূপতি ছিলেন ; তজ্জন্য র্তাহার রাজসভা সৰ্ব্বদা বিদ্বজনমণ্ডলীতে পূর্ণ থাকিত । পরম্পরাগত প্রবাদ এই যে, তিনি ভুবনবিখ্যাত প্রবল প্রতাপশালী মহীপাল বিক্রমাদিত্যের রাজসিংহাসন উদ্ধার করিয়৷ তদুপরি আরোহণ করিতে প্রয়াস পান ; কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হন নাই। এতৎসম্বন্ধে “দ্বাত্রিংশং পুত্তলিকা” নামক একখানি উপাখ্যান গ্রন্থ সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ হইয়াছিল এবং এতদ্ব্যতিরেকে তাহার সম্বন্ধে আরও যে কতিপয় সংস্কৃত গ্রন্থ বিরচিত হইযাছিল, সেই সমস্ত অদ্যাপি বর্তমান আছে । তদীয় রাজ্য-মধ্যে নানাবিধ উৎপাত ও রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটিয়াছিল, সেই জন্য তিনি শেষ জীবনে বহু কষ্টে কালযাপন করিয়াছিলেন—ইতিহাসে এইরূপ দৃষ্ট হয়। উল্লিখিত “ভোজ” নামে স্থপ্রসিদ্ধ মহীপতিদ্বয়ের মধ্যে কোন নৃপাল এতৎপ্রদেশে আগমনপূর্বক বর্তমান “ভোজপুর” নামে পরিচিত জনপদ স্থাপিত করিয়াছিলেন—এবং তন্নিবন্ধন উক্ত গ্রাম তদীয় রাজধানী বলিয়া প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে তাহার যথাযথ কোন প্রামাণিক নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় না । ভোজপুর নামক উল্লিখিত জনপদ “ধারা” নগরীর অপেক্ষা কান্তকুজের নিকটে অবস্থিত। সেই কারণে শেষোক্ত প্রদেশের অধীশ্বর ভোজরাজ কর্তৃক ক্ত জনপদ স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক ; কিন্তু কথিত আছে যে উহা মালবাধিপতি ভোজ কর্তৃকই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এতৎসম্বন্ধে যে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে তাহা নিম্নে প্রদত্ত হইল। অধুনা “শাহাবাদ জিলা” নামে পরিচিত প্রদেশ যে সময়ে ভারতের আদিমনিবাসীগণের অধিকারভুক্ত ছিল, সেই সময় মালবাধিপতি ভোজরাজ বহুসংখ্যক রাজপুত সৈনিক সমভিব্যাহারে তদীয় রাজধানী ধারা নগরী হইতে এতদঞ্চলে আগমন করেন। তখন—এতৎপ্রদেশস্থ “চিরো” জাতীয় আদিমনিবাসিগণের অধিপতি, অপরিচিত জনৈক সেনানায়ককে অগণিত সৈন্যসহ