পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোজপুত্র اgوكي ا স্বীয় রাজ্যে উপস্থিত দৃষ্টে, সসৈন্যে ভোজরাজের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইলে, উভয়ের মধ্যে তুমুল সংগ্রাম আরম্ভ হয়। এইরূপে কিয়দিবস ব্যাপী ঘোরতর যুদ্ধের পর, নৃপতি ভোজ,—চিরোরাজকে সমর-প্রাঙ্গনে নিহত করিয়া যুদ্ধে জয়লাভ করিলে, এই প্রদেশ স্বীয় অধিকারে আনয়নপূর্বক তদীয় রাজধানী স্বরূপ বর্তমান ভোজপুর নামক গ্রামটা প্রতিষ্ঠিত করেন। তৎকাল অবধি ক্ত জনপদ ভোজরাজের রাজধানী “ভোজপুর” নামে খ্যাতিলাভ করিয়াছে। উল্লিখিত জনশ্রুতি অযথা বলিয়া বোধ হয় না । কারণ – এতদঞ্চল নিবাসী ডুমরাওঁ রাজগণ, উজ্জয়িনীর ভুবনবিখ্যাত স্বনামধন্য মহীপাল বিক্রমাদিত্যের বংশোদ্ভব প্রমার বা পোয়ার ক্ষত্রিয় বলিয়া সৰ্ব্বজনসমাজে পরিচিত । বর্ণিত ভোজপুর গ্রামে অবস্থিত যে সমুদয় ভগ্ন অট্টালিকাদি নৃপতি । ভোজ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্রসিদ্ধ, তন্মধ্যস্থ সুদীর্ঘ ও বৃহৎ এক ভগ্ন নিকেতনকে “নবরত্ন নামক রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ বলিয়৷ তদঞ্চলনিবাসিগণ নির্দেশ করে । জ্ঞাত হওয়া যায় যে, পূর্বে উহা অনেক উচ্চ ছিল, কালবিবর্তনে উহার উদ্ধাংশ ক্রমশঃ বিধ্বস্ত হইয়া অধুনা এবংবিধ খৰ্ব্বাকৃতি ধারণ कुद्मेिश्वtंघ्छ् । উক্ত ভগ্ননিকেতনের সন্নিহিত যে এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি খণ্ড আছে, তদগর্ভে আরও গৃহাদির ভগ্নাবশেষ নিহিত আছে,—এইরূপ সম্ভাবিত হয়। এই স্থানে অবস্থিত ভগ্ন নিকেতনাদির মধ্যে কতকগুলিতে যাবনিক স্থাপত্য শিল্পের চিহ্ন পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া অনুমিত হয় যে, ঐ সমস্ত গৃহাদি বহু প্রাচীন কালের নিৰ্ম্মিত নহে । উল্লিখিত নিকেতনাদির ভগ্নাবশেষ ব্যতিরেকে এই গ্রাম মধ্যে দুই তিনটা মুসলমানগণের সমাধিও দৃষ্টিপথে পতিত হয়। কোন এককালে—ভোজপুর নামে খ্যাত জনপদটা গঙ্গাতীরে অবস্থিত ছিল বলিয়া অবগত হওয়া যায়। ইদানীং যদিও গঙ্গা ಆಕ್ಟಿ স্থান হইতে দূরে প্রবাহিত হইতেছে, তথাপি প্রাচীনকালের গঙ্গা প্রবাহের দর্শিন অদ্যাপি গ্রাম-প্রান্তে বিদ্যমান রহিয়াছে। *