পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Č কৌশল্পী । طاهد উল্লিখিত পৰ্ব্বত-গাত্রে দুইটা গুহা অাছে। একটা পৰ্ব্বতের মধ্যভাগে এবং অপরটি তদৃদ্ধ দেশে । এই উদ্ধ দেশস্থ গুহাই স্থানীয় লোকে নাগ-গুহ নামে অভিহিত করে। নিম্নদেশস্থ গুহার অভ্যন্তরে কতিপয় মূৰ্ত্তি এবং গুহা-দ্বারের দুই পাশ্বে দুইটী প্রস্তর-স্তম্ভ নিৰ্ম্মত আছে । “মহাসাংঘিক বিনয়” নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে যে, নাগ গুহাটা স্বয়ং বুদ্ধদেব প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। কিন্তু পৰ্ব্বত-গাত্রে গুপ্তবংশীয় নৃপতিগণের শাসনকালীয় অক্ষরে উৎকীর্ণ কতিপয় ভাস্করের নাম পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া উক্ত গুহাদ্বয় গুপ্তবংশীয় মহীপগণের রাজত্বকালে নিৰ্ম্মিত বলিয়া অনুমিত হয়। এইরূপও হইতে পারে যে, উদ্ধভাগের গুহাটী বুদ্ধদেবের সময়ে এবং তন্নিম্নদেশস্থ গুহাটা গুপ্তবংশীয় নৃপালগণের রাজ্যশাসনকালে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। চৈনেয় পরিব্রাজক হিউএনৎসেঙ্গ কর্তৃক লিখিত ভ্রমণবৃত্তান্ত হইতে আরও অবগত হওয়া যায় যে, অত্রস্থ যে এক উচ্চস্তৃপ-সমীপে বুদ্ধদেব উপবেশন পূর্বক ধ্যানে নিমগ্ন হইতেন সেই স্তৃপ পাভোস পৰ্ব্বতের পূর্বদিশ্বত্তী “দেবকুণ্ড” নামে খ্যাত তড়াগের তীরদেশে অবস্থিত ছিল। উক্ত চীনদেশীয় পরিব্রাজকের এই অঞ্চল পরিদর্শন কালে উল্লিখিত স্ত,প-মধ্যে বুদ্ধদেবের নখর ও কেশ রক্ষিত ছিল। অধুনা উক্ত স্তপের কোন চিহ্নও বর্তমান নাই । 置 ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্বকালে সুলতান আলাউদ্দীনের অনুজ্ঞায় “সৈয়দ হিসাম” নামক কড়ারী-নিবাসী জনৈক যবন কর্তৃক কৌশাম্বী অধিকৃত হয়। তৎকাল অবধি ইহা সৈয়দ বংশীয় মুসলমানগণের অধিকারে রহিয়াছে।