পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিতভয় পত্তন বৌদ্ধযুগে যে সমুদয় জনপদ ভারতবর্ষে স্থাপিত হইয়াছিল প্রসিদ্ধ “বিতভয়পত্তন” নগরটা তন্মধ্যে অন্যতম। এই নগরী—খ্যাতনামা মহীপাল উদয়ন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলিয়া বীরচরিত্র নামক জৈন গ্রন্থে উল্লেখ আছে। এলাহাবাদ শহরের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে, একাদশ মাইল দূরে যমুনার তীরবত্ত “ভিট” ও “দেউরিয়া” নামক দুইটা প্রাচীন গ্রাম ব্যাপিয়া উক্ত জনপদ স্থাপিত ছিল—এইরূপ জেনারল কনিংহাম্ নির্দেশ করেন। . উল্লিখিত জৈন গ্রন্থে ইহাও বর্ণিত আছে বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায় ম্বে, নৃপতি উদয়ন জৈনধৰ্ম্ম অবলম্বন পূর্বক উক্ত ধৰ্ম্মের প্রবর্ভক স্বনামধন্য মহাবীরের একটা প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত করিলে, ইহার অধিকার লাভের জন্য উজ্জয়িনীর অধিপতি চণ্ডপ্রদ্যোত ও র্তাহার মধ্যে তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত হইয়াছিল। এই সম্বন্ধে অনেকে এইরূপ অনুমান করেন—সম্ভবতঃ কৌশাম্বীর রক্তচন্দনকাষ্ঠ-নিৰ্ম্মিত বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি হস্তগত করিবার জন্য উক্ত দুই নৃপতির মধ্যে যে যুদ্ধ হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে, এই উপাখ্যান তাহার সহিত জড়িত হইয়া থাকিবে । যাহাহউক—কৌশাম্বীর অধিপতি-উদয়ন কর্তৃক “বিতভয়পত্তন” নামক বর্ণিত জনপদটা স্থাপিত হওয়া কিছুই অসম্ভব মহে। কারণ–এই স্থান কৌশাম্বী হইতে অধিক দূর নহে; নৌকাযোগে সহজেই গমনাগমন করা যায় এবং জনসাধারণ তদ্রুপই করে ।