পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৯৬

ত্ৰিভভন্ন পত্তন ఇషా দুর্গাভ্যস্তরস্থিত ভগ্নদ্রব্যাদির প্রত্যেক পুঞ্জীভূত স্তর-রাশির মধ্য হইতে, সেই সেই কালের প্রচলিত মুদ্রা, প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত ও দগ্ধীকৃত মৃত্তিকার নানাবিধ মূৰ্ত্তি এবং তদানীন্তন ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি উদ্ধত হইয়াছে। বর্ণিত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ-মধ্যে, তত্রস্থ ভগ্ননিকেতনাদির বৃহদাকারের ইষ্টক রাশি ইতস্ততঃ বিকীর্ণ রহিয়াছে। পল্লীনিবাসিগণ ঐ সমুদয় সংগ্ৰহ করিয়া তাহাদিগের কুটারাদির নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্যে ব্যবহার করে। প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের মতে—মৌর্য্যবংশীয় মহীপালগণের শাসন কালেরপূর্বে অগ্নি-দগ্ধ ইষ্টকের ব্যবহার অতি বিরল ছিল। কিন্তু কদাচিৎ স্থান বিশেষে সেই সময়ের নিৰ্ম্মিত দগ্ধীকৃত ইষ্টকের প্রাচীরদি যে দৃষ্টিপথে পতিত না হয় তাহাও নহে । স্থানীয় লোকমুখে অবগত হওয়া যায় যে, এই দুর্গের মধ্যদেশ হইতে যমুনা পৰ্য্যন্ত ভূগর্ভে এক বৃহৎ পয়ঃ প্রণালী আছে, এবং দুর্গের নিম্নদেশস্থ এক গহবরকে উহার মুখ বলিয়া তাহারা নির্দেশ করে। এখন নাকি উক্ত পয়ঃপ্রণালী রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে । যে সমুদয় প্রাচীন দ্রব্যাদি পূর্ববর্ণিত দুর্গ হইতে উদ্ধৃত হইয়াছে, তন্মধ্যে নিম্নলিখিত দ্রব্যনিচয় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। লোকের নাম ও বাসস্থান জ্ঞাপক ধাতু, গজদন্ত ও প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত নামমূদ্র (Scal) এবং মুদ্রিত মৃত্তিকা-ফলক ; উত্তর দেশস্থ কুষাণ সম্রাটগণের, দক্ষিণ প্রদেশস্থ অবন্তী ও অন্ধ দেশের অধিপতিগণের এবং কৌশাম্বী ও অযোধ্যার মহীপ সঙ্ঘের প্রচলিত মুদ্রা ; তদানীন্তন কালীয় বেশ ভূষায় বিভূষিত স্বরঞ্জিত নানাবিধ মৃন্ময় মূৰ্ত্তি ; তাত্র ও মৃত্তিক নিৰ্ম্মিত নানা আকার প্রকারের তৈজসপত্র ; স্বর্ণকারগণের কারুকার্য্যে ব্যবহৃত বহুবিধ যন্ত্র ; মৃৎপ্রস্তর ও মৰ্ম্মর-নিৰ্ম্মিত প্রসাধন-পেটিকা ; স্বর্ণ রৌপ্য ও মণি-মুক্ত খচিত নানাবিধ অলঙ্কার ; এবং এই সমস্তের সঙ্গে প্রস্তর-যুগের আদিম নিবাসীগণের পাষাণ-নিৰ্ম্মিত কুঠার প্রভৃতি। বর্ণিত দ্রব্য নিচয় অধুনা ভারতীয় কৌতুক সংগ্ৰহালয় Indian Musium এ রক্ষিত আছে ।