পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভভন্ন পত্ত= :డి'S যে ভবন দৃষ্টিগোচর হয়, উহা মোগল শাসনকালে নিৰ্ম্মিত প্রাচীন কালের সেই সুযান দেব-মন্দির নহে । ১৬৪৫ খৃষ্টাব্দে এলাহাবাদের তদানীন্তন শাসনকর্তা শায়েস্তা খাঁ কর্তৃক পুরাতন যুগের প্রতিষ্ঠিত উল্লিখিত স্থযান দেবমন্দিরট বিধ্বস্ত হইয়া সেই স্থানে চতুর্দিক উন্মুক্ত দ্বাদশ ফিট ব্যাসের গোলাকার গুম্বজাকৃতির বর্তমান গৃহট নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই বিষয় উক্ত ভবনের প্রাচীর গাত্রস্থ পারস্য অক্ষরে উৎকীর্ণ লিপিতে উল্লেখ আছে । যমুনীর এই নির্জন প্রদেশস্থ মনোমুগ্ধকর স্থানে মুক্তবায়ুর মধ্যে নিৰ্ম্মিত গৃহটা সম্ভবতঃ একদা মোগল শাসনকৰ্ত্তাগণের প্রমোদ-ভবনরূপে ব্যবহৃত হইত, এবং তদুদ্দেশ্যেই উহা নিৰ্ম্মিত হওয়া বিচিত্র নহে। উল্লিখিত গৃহ, দূর হইতে একটা শুক্ল শিরস্ত্রাণ-স্বরূপ পরিলক্ষিত হয়। এইরূপের এক শ্বেতবর্ণের ভবন বিশিষ্ট প্রাগুক্ত পাষাণস্তুপ সমেত এই জনমানব বিহীন শ্মশান ভূমির পার্শ্ববৰ্ত্তী কলকল নাদিনী স্থনীল সলিলা যমুনার দৃশ্ব এরূপ বিরাগ ভাব ব্যঞ্জক যে, তাহ পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে দর্শকের হৃদয় স্বতঃই ঔদাস্ত সাগরে নিমজ্জিত হয়। কতিপয় ধীবরও তাহাদিগের নৌকা ব্যতিরেকে সাধারণতঃ এই স্থানে দ্বিতীয় আর কিছুই লক্ষিত হয় না । ইদানীং “স্যান” নামে খ্যাত কোন দেবমূৰ্ত্তি কিংবা তাহার মন্দির এই স্থানে বর্তমান না থাকিলেও পূর্ব বর্ণিত পাষাণ-স্ত পই তৎপ্রদেশস্থ জনসাধারণ কর্তৃক “স্বযান দেব” নামে অভিহিত হয়। উক্ত পাষাণ-স্তুপগাত্ৰে পাচট নরমূৰ্ত্তি খোদিত আছে। ঐ মূৰ্ত্তি নিচয়কে পঞ্চপাণ্ডবের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়৷ তদঞ্চল নিবাসী লোকেরা নির্দেশ করে। o কোন সময়ে কাহার দ্বারা উল্লিখিত পঞ্চপাণ্ডব নামে অভিহিত মূৰ্ত্তি নিচয় প্রাগুক্ত শিলাস্তৃপ-গাত্রে খোদিত হইয়াছিল ; স্থযান দেবই বা কি, এবং এই দেব ও ইহার মন্দির কোন কালে কে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল ; এই সমস্ত বিষয় স্থানীয় লোকের নিকট বহু অনুসন্ধান করা সত্ত্বেও স্থনিশ্চয়রূপে কিছুই অবগত হইতে সক্ষম হই নাই ।