পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিকারে অবস্থিত 'Eడిపి ভিভভন্ন পত্তল মুসলমান রাজত্ব পতন হইলে পূর্ব বর্ণিত পাষাণ স্তুপের উদ্ধভাগে শায়েস্তা খাঁ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বৰ্ত্তমান ভবনের মধ্যে স্থানীয় হিন্দুনিবাসীগণ একখানি পাষাণ-খণ্ড শিবলিঙ্গ স্বরূপ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। প্রতি বৎসর কাৰ্ত্তিক ও চৈত্র মাসে এই গ্রাম-মধ্যে যে মেলা হয়, তৎকালে বহু হিন্দু নরনারী সমবেত হইয়া উক্ত প্রস্তর-খণ্ডের পূজা অৰ্চনা করে বলিয়া অবগত হওয়া যায়। যমুনার তীরবর্তী প্রান্তরের মধ্যে একটা প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ভগ্ন নাগ-মূৰ্ত্তি পরিলক্ষিত হয়। জনসাধারণে ইহাকে “শিঙ্গারী দেবী” নামে অভিহিত করে। পল্লীনিবাসীগণ কহে—পূর্বে ইহা পঞ্চশির বিশিষ্ট ছিল। কিন্তু অধুনা ইহার মস্তকনিচয় গ্রাম্য বালকগণ কর্তৃক বিনষ্ট হইয়াছে। তথা কথিত শিঙ্গারী দেবী মূৰ্ত্তির সম্মুখ দেশে মস্তক, দক্ষিণ বাহু ও পদদ্বয় বিহীন এক ভগ্নমূৰ্ত্তি গ্রামস্থ লোকেরা স্থাপন করিয়াছে। এই জনপদ হইতে অল্প দূরে “মানকুয়র” নামক স্থানে দেউরিয়ার গোস্বামিগণের যে উদ্যান আছে, তন্মধ্যে নৃপতি কুমার গুপ্তের শাসন কালীন নিৰ্ম্মিত তিব্বং দেশীয় লামাগণের কিরীটের অনুরূপ শিরভূষণে ভূষিত সুন্দর একটা বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি স্থাপিত ছিল—এইরূপ শ্রুতিগোচর হয়। জ্ঞাত হওয়া যায় যে, বর্ণিত মূৰ্ত্তি রাণীকৃত ইষ্টক-স্তুপ মধ্য হইতে উদ্ধৃত হইয়াছিল। দেউরিয়া গ্রামের অল্প দূরে যমুনার তীরবর্তী “বিকার” নামক স্থানে অবস্থিত ক্ষুদ্র এক শৈলোপরি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত এক মহিষ-মদিনী সিংহবাহিনীর মহিষমৰ্দিনী প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক ইহা “চাকি দেবী” মূৰ্ত্তি। আখ্যা প্রদত্ত হয়। মূৰ্ত্তিটা দেখিলে স্পষ্টই অনুভূত হয় যে, ইহা অতি প্রাচীন কালের নিৰ্ম্মিত। উক্ত মূৰ্ত্তিকে চাদকি দেবী নামে অভিহিত করিবার কারণ কি, এবং কতকাল অবধি-ই বা ইহা এই স্থানে অবস্থিত, এই সমুদয় কথা কেহই বলিতে সক্ষম নহে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম-পতনের পর—হিন্দুধর্মের পুনরুত্থান কালে তন্ত্রানুযায়ী শক্তিউপাসনা ভারতবর্ষের নানা স্থানে যখন বহুল প্রচলিত হয়,—সেই সময়, নদীর তীরবর্তী জনমানবহীন এই শৈলমালাকে গোপনে শক্তি উপাসনার বিশেষ