পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভিঈশলপুত্র 'eరిక মহীপাল ঐল পুরূরবার কুলোদ্ভব পরবর্তী নৃপতিগণ কত কাল পর্য্যন্ত প্রতিষ্ঠানপুরে রাজত্ব করিয়াছিলেন—এবং কি কারণবশতঃ এই জনপদ, তাহাদিগের দ্বারা পরিত্যক্ত হইয়াছিল—এই বিষয় স্থনিশ্চয় কিছুই অবগত হওয়া যায় না । কান্তকুজের অধিপতি প্রতিহার বা পরিহার বংশের শেষ রাজা ত্ৰিলোচন পালের প্রদত্ত যে একখানি তাম্রশাসন ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে, তাহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, একদা তিনি এই প্রতিষ্ঠানপুরে আগমন পূর্বক রাজত্ব করিয়াছিলেন । সম্ভবতঃ মগধাধিপতি রাজা ভীমযশের সহিত র্তাহার যে যুদ্ধ হইয়াছিল, সেই সংগ্রামে তিনি পরাজিত হইয়া রাজ্য হইতে বিতাড়িত হইলে এতদঞ্চলে আগমন পূর্বক রাজ্য স্থাপন করেন। এই স্থানে অবস্থিত দুইটা ভগ্নদুর্গের মধ্যে একটা নৃপতি হর্ষগুপ্ত কর্তৃক এবং অপরট সমূদ্র গুপ্ত কর্তৃক নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্রসিদ্ধ। হর্ষগুপ্তের সম্বন্ধে কোন ব্যক্তি কিছু না বলিলেও সমুদ্রগুপ্ত যে একটা দুর্গ প্রস্তুত করিয়াছিলেন, ইহা কেহ কেহ স্বীকার করেন না। কিন্তু খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মগধেশ্বর সর্বকলাবিশারদ, রাজনীতিকুশল ও পরাক্রমশালী সমুদ্র গুপ্ত—যিনি ইদানীন্তন কোন কোন ইতিবৃত্তকার কর্তৃক ভারতবর্ষের “নেপোলিওঁ” আখ্যা প্রদত্ত হন ; সেই স্থপ্রসিদ্ধ মহীপাল অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান পূর্বক সম্রাট উপাধি ধারণ করিবার মানসে যে সময় দিগ্বিজয় যাত্রা করেন, সেই সময় তৎকর্তৃক অত্রস্থ দুইটী দুর্গ মধ্যে একটা নিৰ্ম্মিত হওয়া কিছুই বিচিত্র নহে। যাহা হউক-নৃপতি কুমার গুপ্তের নামাঙ্কিত কতকগুলি মুদ্রা এই স্থান হইতে উদ্ধৃত হওয়াতে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানপুর যে একদা গুপ্ত বংশীয় মহীপালগণের রাজধানী ছিল—ইহা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভারতবর্ষের হিন্দু নৃপতিগণ পরস্পর যুদ্ধবিগ্রহ করতঃ হীনবল হইয়া পড়িলে তাহাদিগের মধ্যে এবংবিধ গৃহবিচ্ছেদ ও শক্তিখৰ্ব্বতার সুযোগ প্রাপ্তে মুসলমানেরা ভারতবর্ষ আক্রমণ