পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২১১

প্রভিউগলপুর فييناصونج" করে। তৎকালে গুর্জরাধিপতি প্রতিষ্ঠানপুরে আগমন পূর্বক আত্মরক্ষার্থে .অত্রস্থ দুর্গ মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন—এইরূপ কথিত আছে। এই জনপদে অবস্থিত প্রাচীন যুগের কীৰ্ত্তিমালার মধ্যে উল্লিখিত ছুইটী দুর্গের ভগ্নাবশেষ ব্যতিরেকে সমুদ্রগুপ্তের নাম সমন্বিত “সমুদ্র কুপ” নামক এক বৃহৎ কুপ বিদ্যমান আছে। উক্ত কুপের সম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, ইহার নিম্নদেশ ও সমুদ্র পরস্পর সংযুক্ত। সম্ভবতঃ ইহা সমুদ্র কুপ নামে অভিহিত হওয়াতে অশিক্ষিত জনসাধারণের অন্তঃকরণে এবংবিধ কুসংস্কার জন্মিয় থাকিবে । জ্ঞাত হওয়া যায় যে, নূ্যনাতিরেক পঞ্চাশংবর্ষ পূর্বে বাবা স্থদর্শন দাস নামক জনৈক সুশিক্ষিত সাধু অযোধ্যা হইতে আগমন পূর্বক এই স্থানে বাস স্থাপন করেন। তৎকালে বর্ণিত কূপ প্রায় মৃত্তিক পূর্ণ নিরীক্ষণ করিয়া তিনি ইহা খনন করাইতে প্রবৃত্ত হন । ইহা খনিত হইলে পূর্বোল্লিখিত কারণবশতঃ সমুদ্রের জল কূপমুখের দ্বারা প্রস্রবণরূপে বিনির্গত হইয়া দেশময় জলপ্লাবন ঘটাইবে এইরূপ আশঙ্কায় স্থানীয় অশিক্ষিত পাণ্ড প্রভৃতি র্তাহাকে এই কাৰ্য্য হইতে বিরত রহিতে অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি তাহাদিগের কুসংস্কার জনিত কথায় কর্ণপাত না করিয়া উক্ত কুপ খনন পূর্বক সম্পূর্ণরূপে ইহার জীর্ণ সংস্কার করেন । এই স্থানে যে কতিপয় মন্দির ও মুসলমানগণের সমাধি ভবন আছে, তন্মধ্যে জনৈক তেওয়ারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মন্দিরট দ্রষ্টব্য বটে। অত্রস্থ মন্দির প্রভৃতির কোনটাই সৌন্দর্য্যে ইহার সমকক্ষ নহে। উক্ত মন্দির অতি প্রাচীন অনুভূত না হইলেও নিতান্ত আধুনিক বোধ হয় না । ইহা দুই শত বৎসরের কিঞ্চিদধিক প্রাচীন বলিয়া এলাহাবাদের জনৈক ভদ্রলোকের নিকট জ্ঞাত হওয়া যায়। এতদ্ব্যতিরেকে শেখ তকী নামক সুবিখ্যাত ফকিরের যে দরগাহ এই স্থানে অবস্থিত, ইহার বিষয় উল্লেখযোগ্য। সোবহান-উল-মিল্লত নামক জনৈক মুসলমানের পুত্র সৈয়দ-সদর-উলহক্‌ তকীউদ্দীন মোহম্মদ আবুল আকৃবর ১৩২০ খৃষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।