পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eਿਭੋਂਕੋਫ਼ '>డిని ঐ ব্যক্তি শুদ্ধাচারী হইয়া সৰ্ব্বদা একাগ্র চিত্তে ঈশ্বর উপাসনায় কালযাপন করার জন্য আবালবৃদ্ধবণিতা তাহাকে একজন সিদ্ধ দরবেশ বলিয়া ভক্তি . করিত। ১৩৮৪ খৃষ্টাব্দে উক্ত দরবেশ পরলোকে গমন করিলে, তদীয় সমাধিক্ষেত্রের উপর বর্তমান দরগাহটী নিৰ্ম্মিত হয়। এই দরগাহ একটী পবিত্র স্থান বলিয়া সৰ্ব্বসাধারণ কর্তৃক শ্রদ্ধার নেত্রে দৃষ্ট হইয়া থাকে। ১৭১২ খৃষ্টাব্দে দিল্লীর বাদশাহ মোহম্মদ মোঅজ্জম বাহাদুরশাহ কালকবলে পতিত হইলে তদীয় জ্যেষ্ঠপুত্র ময়জুদ্দীন স্বীয় ভ্রাতৃগণকে নিহত করিয়া দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ পূর্বক জাহান্দরশাহ নাম ধারণ করেন। এই ঘটনার কিয়দিবসান্তর তদীয় ভ্রাতুপুত্র ফরোখসিয়র বঙ্গদেশ হইতে তাহার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পতাকা উড্ডীন করিয়া দিল্লীর সিংহাসন অধিকারের জন্য যুদ্ধ যাত্রা করেন। কথিত আছে যে, তৎকালে তিনি উল্লিখিত দরগাহে প্রবেশ করিয়া স্বীয় অভিলাস সিদ্ধি-কামনায় শেখ তকীর উদ্দেশে ভক্তিভরে অভিবাদন পূর্বক দিল্লীর অভিমুখে অগ্রসর হন। ফরোখসিয়র আগ্রাতে পৌছিলে জাহান্দার শাহ ও র্তাহার মধ্যে তুমুল ংগ্রাম হয়। সেই যুদ্ধে তিনি জাহান্দারশাহকে হনন পূর্বক জয়লাভ করিয়৷ দিল্লীর সিংহাসন আরোহণ করেন। এই ঘটনাতে শেখ তকীর প্রতি জনসাধারণের বিশ্বাস ও ভক্তি দ্বিগুণ বদ্ধিত হয়। এমন কি—হিন্দুগণ পর্য্যন্ত কোন বিষয়ের অভীষ্ট সিদ্ধির উদ্দেশ্বে তাহার দরগাহে গমন করিয়া অভিবাদন করে । পরম্পরাগত প্রবাদ প্রচলিত অাছে যে, কোন এক কালে হরবং নামক জনৈক বাতিকগ্রস্ত রাজা প্রতিষ্ঠানপুরে রাজত্ব করেন। এই জন্য একদা এই স্থান হরবংপুর বা হরভূমপুর আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিল। উক্ত অদ্ভুত প্রকৃতির রাজার দ্বারা এবংবিধ অদ্ভুত নিয়মাবলী নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছিল যে, দিবাভাগে কেহই কোন কাজ করিতে পারিবে না ; রজনীযোগেই হাট-বাজার, দেবাৰ্চনা, রাজকাৰ্য্য, কৃষিকৰ্ম্ম প্রভৃতি সম্পাদন করিতে হইবে এবং যৎসামান্য দ্রব্য হইতে রত্ন-কাঞ্চন পৰ্য্যন্ত এক পরিমাণে ও সমমূল্যে বিক্রয় হইবে। উক্ত