পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জতুগৃহ এলাহাবাদ জিলার অন্তঃপাতী যে সমুদয় স্থান রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত প্রাচীন জনপদ বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হয়, গঙ্গার উত্তর তীরদেশস্থিত বর্তমান “কসৌন্ধন” বা “লাক্ষাগড়” নামে খ্যাত প্রাচীন গ্রামটাও তন্মধ্যে পরিগণিত। এই গ্রাম প্রয়াগ নগরীর পূর্বদিকে নূ্যনকল্পে দ্বাদশ ক্রোশ দূরে গঙ্গার উত্তর তীরবর্তী “হাওঁীয়া” পরগণার মধ্যে অবস্থিত। উল্লিখিত গ্রাম-মধ্যে পৰ্ব্বতপ্রায় উচ্চ ও বৃহৎ যে এক মৃগয়-স্তুপ পরিলক্ষিত হয়, তাহাতেই—মহাভারতে লিখিত যে জতুগৃহে পঞ্চপাণ্ডবকে তাহাদিগের মাতার সহিত জীবন্ত দগ্ধ করিয়া প্রাণ বিনাশ করিবার জন্য দুর্নীতি পরায়ণ রাজা দুৰ্য্যোধন তদীয় যবনমন্ত্রী পুরোচনের সহিত ষড়যন্ত্র করিয়াছিলেন, সেই জতুগৃহ অবস্থিত ছিল বলিয়া তৎপ্রদেশস্থ সৰ্ব্বসাধারণে নির্দেশ করে। পাঠকবর্গের জ্ঞাতার্থে এই স্থানে ইহা উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে, প্রয়াগের উত্তরদিগবর্তী প্রদেশই মহাভারত যুগে “বারণাবত” নামে প্রসিদ্ধ ছিল এইরূপ অবগত হওয়া যায়। প্রাগুক্ত মৃগয় স্তুপ মধ্যে একটা অতি জীর্ণদশাগ্রস্ত ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ও বিকীর্ণ ইষ্টক রাশি দৃষ্টিপথে পতিত হয়। জনশ্রুতি অনুসারে তন্মধ্যেই যুধিষ্ঠিরাদি পঞ্চপাণ্ডবকে অগ্নিদগ্ধ করিয়া ভস্মীভূত করিবার উদ্দেশ্যে দুরাত্মা পুরোচন কর্তৃক জতুগৃহট নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। অধুনা