পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=वन्द्भञ्जैो त्रोप्छ ঐৰ কালের বিচিত্র গতিতে উৎকলাধিপতিগণ ক্রমশঃ ক্ষমতাবিহীন হইয়া পড়িলে উল্লিখিত “বারবাটা” নামে খ্যাত কটকের দুর্গ তাহাদিগের হস্তচু্যত হইয়া একাদিক্রমে মুসলমান, মহারাষ্ট্রীয় ও ইংরাজের হস্তগত হয়। যখন উড়িষ্যা দেশ মোগল-শাসনাধীন, সেই সময়ে উক্ত প্রদেশের বন্দর সমূহে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করিবার অধিকার লাভের জন্য তিন জন ইংরাজ ১৬৩৩ খৃষ্টাব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক প্রেরিত হইয়া কটকে আগমন করে । উল্লিখিত দুর্গের অভ্যন্তরস্থিত প্রাসাদেই মোগল রাজপ্রতিনিধি কর্তৃক, উক্ত কোম্পানীর প্রার্থনানুযায়ী ক্ষমতা ঐ ইংরাজত্ৰয়ের হস্তে প্রদত্ত হয়। কথিত আছে যে তৎকালের মোগল দরবারের আড়ম্বর দৃষ্টে তাহারা বিস্ময়াপন্ন হইয়াছিল। উক্ত প্রস্তর নিৰ্ম্মিত স্থদৃঢ় দুর্গ সম্বন্ধে জনৈক কল্পনাপ্রবণ ফরাসী পরিব্রাজক এইরূপ অভিমত প্রকাশ করিয়াছিলেন বলিয়া শ্রীতিগোচর হয় যে ইহা নিরীক্ষণ করিয়া লণ্ডন নগরস্থ উইণ্ডসর ক্যাসল নামক প্রসিদ্ধ দুর্গের কথা তাহার স্মৃতিতে জাগরিত হইয়া উঠে । একদা এই দুর্গ যে সুবিখ্যাত ছিল, এক্ষেত্রে তাহাই প্রমাণিত হয়। অধুনা উক্ত দুর্গের তোরণ ও মুসলমান অধিকারকালে নির্মিত দুর্গমধ্যস্থ একটা মসজিদ ব্যতীত দুর্গপ্রাকার কিংবা প্রাসাদ ইত্যাদির চিহ্নমাত্রও বিদ্যমান নাই। পৰ্ব্বত শ্রেণীতে বেষ্টিত পরিখার কিয়দংশ জলময় থাকিলেও কোন কোন স্থান মুক্তিকাপূর্ণ হইয়া গিয়াছে । তাহাতে স্থানীয় লোকে কৃষিকৰ্ম্ম করে । ১৮০৭ খৃষ্টাব্দে মুকুন্দদেব বৃটিশরাজ অধিকৃত তদীয় সম্পত্তি হইতে মালিকান স্বরূপ বৃত্তি পাইয়। মুক্তিলাভ করেন, এবং সেই সঙ্গে জগন্নাথদেবের পূজার ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয় পুরীতে আগমন পূর্বক বাস করেন। ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে খুরধার পাইকের বৃটিশরাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়। এই বিদোহনল পাশ্ববর্তী বহু স্থানে পরিব্যাপ্ত হয়। তৎকালে ছৰ্ভাগ্য ও ধর্মতি বশতঃ তিনিও তাহতে লিপ্ত হন । এই হেতু তাহীকে পুনরায় কারাবরণ ર