পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ध-वब्नौ= 8כל প্রাগুক্ত পর্বতমালার পূর্বদিকে “কৌশল্যা গঙ্গা” নামে খ্যাত এক প্রকাণ্ড দীর্ঘিকা দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়। গঙ্গেশ্বর নামক এই প্রদেশ নিবাসী জনৈক নৃপতি কর্তৃক কৌশল্য নাম্নী তদীয় দুহিতার নামানুসারে উক্ত দীর্ঘিকা কোনরূপ প্রায়শ্চিত্তের মানসে খনিত হইয়াছিল। জগন্নাথদেব মন্দিরে রক্ষিত তালপত্রের মাদল পঞ্জিতে এই বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ আছে বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায় । কথিত আছে যে, পূর্বে উক্ত দীর্ঘিকার বিস্তার দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে এক ক্রোশ ছিল । ইদানীং যদিও ইহার কিয়দংশ মৃত্তিকাপূর্ণ হইয়াছে এবং তত্ত্বপরি গ্রামবাসীরা কৃষিকৰ্ম্ম করে, তথাপি যে অংশ এ যাবৎ জলপূর্ণ রহিয়াছে, তাহ দীৰ্ঘে নূ্যনকল্প দেড় মাইল এবং প্রস্থে পাচ ফালঙ্গ বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায় । ইহার অধিকাংশই এরকা ও জলজ গুল্মলতাদিতে প্রচ্ছাদিত হইয়াছে এবং তন্মধ্যে সংখ্যাতীত বহুবিধ জলচর পক্ষী কুলায় নিৰ্ম্মণ পূর্বক বাস করিতেছে । বণিত দীর্ঘিকা এক পয়োনালীর দ্বারা “দয়া” নদীর সহিত সংযুক্ত ; সম্ভবতঃ এই জন্য নদীর বালিরাশি ক্রমশঃ ইহাতে সঞ্চিত হইয়া এবংবিধ দুর্দশাপন্ন হইয়া থাকিবে । উক্ত পয়ঃপ্রণালীর উৰ্দ্ধদেশস্থ একটা সেতুর ভগ্নাবশেষ অদ্যাপি বর্তমান রহিয়াছে। যে পয়ঃপ্রণালীর দ্বারা উল্লিখিত দীর্ঘিকা “দয়।” নদীর সহিত সংযুক্ত, তাহার পশ্চিম দিকে বহু সংখ্যক নিকেতনাদির প্রস্তরভিত্তি, নানাবিধ দ্রব্যের ভগ্ন খণ্ড এবং বিকীর্ণ ইষ্টকরাশি দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়। ঐ সমস্ত প্রাচীন নিদর্শন পর্য্যবেক্ষণ করিয়া ইহাই স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, অধুনাতন ধৌলী নামক গ্রামটী একদা সমৃদ্ধিশালী এক জনপদ ছিল । পূৰ্ব্ব বর্ণিত “কৌশল্যা গঙ্গা” নামক দীর্ঘিকার মধ্যে এক দ্বীপ আছে। তাহার উপর জঙ্গলাকীর্ণ যে এক অতি প্রাচীন নিকেতনের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিগোচর হয়, তাহ এই প্রদেশের জনৈক নৃপতির রাজপ্রাসাদ ছিল, জনসাধারণ মধ্যে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে ; কিন্তু উক্ত নৃপতির