পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वन्झॉन्वन्झ =jत्र्त्रज्ठ పిక সলিল গয়া জিলার প্রখর রৌদ্রে উত্তপ্ত মধ্যাহ্ন কালেও সুশীতল অনুভূত হয়। স্থানীয় লোকে কহে, ইহার সলিল সৰ্ব্বদাই এইরূপ শীতল থাকে, কখনও তপ্ত হয় না । পাতাল গঙ্গার স্নান উপলক্ষে প্রতি বৎসর ভান্দ্র মাসে বরাবর পর্বত প্রান্তে এক মেলা হয়। তৎকালে এই জনমানব পরিত্যক্ত হিংস্র জন্তুর বিচরণ ভূমি বহুজন-সমাগমে কোলাহলে মুখরিত হয় বলিয়া অবগত হওয়া যায়। কিস্তী নামে খ্যাত প্রাগুক্ত তড়াগের দক্ষিণ দিকে, নূ্যনকল্পে পাচশত ফিট দীর্ঘ, একশত হইতে দুইশত ফিট, পর্য্যন্ত বেধ বিশিষ্ট ও ত্রিশ হইতে পয়ত্রিশ ফিট উচ্চ এক পাষাণ খণ্ড আছে ; তদগাত্রেই অত্রস্থ চারিট প্রসিদ্ধ গুহ খনিত। উক্ত পাষাণ খণ্ডের উত্তরদিগবর্তী গুহা “কর্ণচেীবর” বা “কর্ণচৌপর” নামে খ্যাত। ইহার মধ্যভাগ এরূপ মস্বণ ও সুচিকণ যে, দর্পণ সদৃশ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। খৃষ্ট জন্মের পূর্বেও ভারতশিল্পিগণ তাহাদিগের কার্য্যে কিরূপ স্থনিপুণ ছিল, ইহা উক্ত গুহার অভ্যন্তরের কার্য্য দৃষ্টে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় । কারণ, অতি কঠিন গ্রেনাইট, শিলাগাত্র এই প্রকার মস্বণ ও চাকৃচিক্যশালী করা সহজসাধ্য ব্যাপার নহে; এবং এইরূপ দুরূহ কাৰ্য্য অধুনা ভারতবর্ষে আর হওয়া সম্ভবপর কি না বলা দুষ্কর। বর্ণিত গুহার প্রবেশপথের পশ্চিম কোণে মৃত্তিকায় প্রোথিত এক শিলাখণ্ডস্থ উৎকীর্ণ লিপি হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, খৃষ্ট পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে গুহাটী খনিত হইয়া খ্যাতনামা সম্রাট অশোকের নামে উৎসর্গীকৃত হইয়াছিল। গুহাদ্বারের পূর্বদিকে কতকগুলি হিন্দু দেবমূর্তি খোদিত আছে । কোন সময়ে কাহার দ্বারা ঐ সমস্ত হিন্দু দেবমূৰ্ত্তি বৌদ্ধক্ষেত্রে খোদিত হইয়াছিল তাহ নিৰ্দ্ধারণ করা দুষ্কর। সম্ভবতঃ বৌদ্ধধৰ্ম্মের পতন হইলে এই স্থান হিন্দুগণের অধিকারভুক্ত হয়, এবং তৎকালেই ঐ সমস্ত মূৰ্ত্তি খোদিত হইয়াছিল ।