পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৭২

न्वन्झांन्वन्झ *>|च्चैंडछ షిహి নৃপতি কর্তৃক উল্লিখিত গুহা-মধ্যে এক কৃষ্ণমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই গুহা এত আধুনিক নহে; প্রাগুক্ত সুদামা গুহারই সমকালীন— জেনারল কানিংহেমের এইরূপ মত। কারণ দ্বারদেশের উদ্ধাংশ ব্যতিরেকে সুদামা গুহার সহিত অপরাপর বিষয়ে লোমশ নামক এই গুহার যথেষ্ট সোসাদৃশ্ব রহিয়াছে। ইহাই নিরীক্ষণ করিয়া তিনি অনুমান করেন যে, খৃষ্টীয় তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শতাব্দীতে উক্ত গুহাদ্বারের উদ্ধভাগ বর্তমান আকারে পরিণত করিয়া তাহাতে বর্ণিত শ্রেণীবদ্ধ হস্তিমূৰ্ত্তি ও তন্নিক্ষে লিপিগুলি খোদিত হইয়াছিল । প্রাগুক্ত দীর্ঘ শৈলখণ্ডের পূর্বপ্রান্তবর্তী একটা প্রকাণ্ড পাষাণস্তুপে যে গুহাটী খনিত আছে, তাই “বিশ্বঝোপড়া” বা “বিশ্বামিত্রের কুটির” নামে প্রসিদ্ধ । ইহার সম্মুখ ভাগের প্রকোষ্ঠট মাত্র মস্বণ ও স্থচিকণ ; পশ্চাৎ দিকের প্রকোষ্ঠ তদ্রুপ নহে। বণিত গুহাচতুষ্টয় তদঞ্চলনিবাসী জনসাধারণ কর্তৃক “সাতঘরিয়া” নামে অভিহিত হয়। এই পৰ্ব্বত “বরাবর” নামে খ্যাত হওয়ার সম্বন্ধে এবংবিধ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে বিষ্ণুপুরাণের লিখিত উষার পিতা দৈত্যরাজ “বাণ” ইহাতে অবস্থান পূর্বক পূর্ব-বর্ণিত সিদ্ধেশ্বর নাথ নামক অত্রস্থ মহাদেবের কঠোর তপস্যায় প্রবৃত্ত হন। র্তাহার সেই প্রকার ক্লেশসহিষ্ণুতা ও অসীম ভক্তি দর্শনে মহাদেব ভক্তের প্রতি প্রসন্ন হইয়া তদীয় আকাঙিক্ষত বর প্রদান করেন। এই কারণ বশতঃ পৰ্ব্বতটী “বাণবর” আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিল ; কালক্রমে বাণবর নাম অপভ্রষ্ট হইয়া অধুনা বরাবর নামে অভিহিত হুইয়াছে। বেলা নামক গ্রামের পশ্চিম দিকে নুনাধিক তিন মাইল দূরে “শোণপুর” নামে যে এক ক্ষুদ্র প্রাচীন গ্রাম আছে, ইহাই পুরাণোক্ত দৈত্যরাজ বাণের রাজধানী “শোণিতপুর”—এইরূপ কথিত হয়। এবং উক্ত গ্রামস্থ প্রান্তরের মধ্যবৰ্ত্তী বিকীর্ণ ইষ্টকরাশি ও একটা প্রাচীরের যৎসামান্য বিধ্বস্ত অংশকে বাণাস্থর-দুর্গের ধ্বংসাবশেষ বলিয়া স্থানীয়