পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগাৰ্জুন পর্বত ইতিপূর্বে বর্ণিত “বরাবর” পৰ্ব্বত শ্রেণীর অন্তৰ্ব্বত্তী সিদ্ধেশ্বর চুড়া নামক শৃঙ্গের পূর্বদিকে নূ্যনাতিরেক অৰ্দ্ধ মাইল দূরে, যে দুইটা শৈলমালা দৃষ্টিগোচর হয়, উহা “নাগার্জন” গিরি নামে খ্যাত ; এবং “বরাবর” পৰ্ব্বত শ্রেণী মধ্যেই পরিগণিত । উক্ত শৈলমালার মধ্যে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত গিরিশ্ৰেণীর উত্তরাংশের এক ক্ষুদ্র শিখরে দুইটী গুহা আছে। এতদ্ব্যতিরেকে ইহার দক্ষিণ ভাগে “গোপিকা” নামক যে আর একটা বৃহৎ গুহা লক্ষিত হয়, ইহা সমতল ভূমি হইতে কিঞ্চিদধিক পঞ্চাশ ফিট উচ্চ হুইবে এবং ইহাতে আরোহণ করিবার জন্য অযত্বে নিৰ্ম্মিত এক প্রস্তর সোপান-শ্রেণী পরিদৃষ্ট হয় । গুহাটীর দ্বারদেশ বৃক্ষলতাদিতে আচ্ছন্ন এবং পূর্বকালের এইস্থান-নিবাসী জনৈক মুসলমান কর্তৃক নিৰ্ম্মিত এক “ইদৃগার” প্রাচীরে ইহা এরূপ প্রচ্ছাদিত হইয়াছে যে এক্ষণে স্পষ্টরূপে ইহাকে লক্ষ্য করাই দুষ্কর । ভুবন বিখ্যাত সম্রাট অশোকের পুত্ৰ নৃপতি দশরথ পৈতৃক সিংহাসনে আরোহণ পূর্বক বর্ণিত গুহা আজীবক সম্প্রদায়ভুক্ত সন্ন্যাসীদিগকে দান করিয়াছিলেন, এবং তৎসঙ্গে “যাবৎ চন্দ্র দিবাকরে।” উহাতে বাস করিবার জন্য অনুমতি দান করেন,—গুহ্যদ্বারের উৰ্দ্ধদেশস্থ শিলালিপিতে এই প্রকারের উল্লেখ আছে। এতদ্ব্যতিরেকে উক্ত গুহাগাত্রে উৎকীর্ণ আরও