পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরাওত গয়াজিলার অন্তর্গত যে সমস্ত জনপদ প্রাচীন কীৰ্ত্তিচিহ্নে পরিপূর্ণ, তন্মধ্যে “ধরাওত” নামক পুরাতন গ্রামটাও অন্যতম। এই গ্রাম “বরাবর” পৰ্ব্বত শ্রেণীর অনতিদূরে উক্ত জিলার অন্তঃপাতী জাহানাবাদ উপবিভাগের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। গ্রামটর দক্ষিণ দিগবর্তী এক পৰ্ব্বতমালার উত্তরদিকের ক্রমনিম্নদেশে যে সমুদয় বিধ্বস্ত নিকেতনাদির চিন্তু বিদ্যমান আছে, সেই সমস্তই প্রাচীন কালের সুপ্রসিদ্ধ ‘গুণমতি” নামক বিহারের ভগ্নাবশেষ বলিয়া প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ নিৰ্দ্ধারণ করেন। উক্ত বিহারের সম্বন্ধে এইরূপ কথিত আছে যে, পূর্বকালে মাধব নামক জনৈক বৌদ্ধধৰ্ম্মদ্বেষী খ্যাতনামা হিন্দু পণ্ডিত এতদঅঞ্চলে বাস করিতেন। র্তাহার দুর্জয় প্রতাপ ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতি ঘোর বিদ্বেষের কথা ক্রমশঃ ভারতবর্ষময় প্রচারিত হইলে সেই কথা দক্ষিণভারত-নিবাসী অদ্বিতীয় বৌদ্ধ পণ্ডিত গুণমতি নামক শ্রমণের কর্ণগোচর হয়। উহা শ্রবণ করিয়া উক্ত শ্রমণ এই প্রদেশে আগমনপূর্বক বিচারার্থে মাধবকে আহবান করেন। গুণমতির পাণ্ডিত্যের বিষয় পূর্বাবধিই সর্বত্র খ্যাত ছিল ; র্তাহার নাম শ্রবণে মাধবের অন্তঃকরণে বিচারে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা উদ্রেক হওয়াতে তিনি কোন প্রকারে বিচার হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিবার উপায় উদ্ভাবন করিতে থাকেন। তদুদ্দেশ্যে তিনি উক্ত শ্রমণের অদ্ভুত বেশ