পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه. ويب হস্ত দীর্ঘ আর একটা মঞ্চ আছে। বহুসংখ্যক প্রস্তরমূৰ্ত্তি একদা তদুপরি অবস্থিত ছিল ; পল্লীবাসিগণ তথা হইতে সেই সমুদয় মূৰ্ত্তি আনয়নপূর্বক গ্রামস্থিত হিন্দু দেবমন্দিরে স্থাপিত করিয়াছে বলিয়া স্থানীয় লোকে কহে । অত্রস্থ বিহারাদি কালবিবর্তনে বিনষ্ট হওয়ার পরও ঐ সমস্তের যাহা কিছু বিধ্বস্ত অংশ বিদ্যমান ছিল, তাহা গ্রামস্থ ব্যক্তিগণ সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করিয়া উহার ইষ্টকাদি গ্রহণপূর্বক নিজ নিজ গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ কার্য্যে ব্যবহার করিয়াছে। অধুনা কতকগুলি ভিত্তিখাত ও ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ইষ্টকরাশি ব্যতীত উল্লিখিত প্রাচীন বিহারাদির আর কোন চিহ্লই পরিলক্ষিত হয় না। পৰ্ব্বতশিখরদেশে বৌদ্ধযুগের কতকগুলি গৃহাদির ধ্বংসাবশেষ, একটা ক্ষুদ্রাকারের ভগ্ন মন্দির এবং এতদ্ব্যতিরিক্ত তিনটী ইষ্টক নিৰ্ম্মিত ভিত্তি দৃষ্টিপথে নিপতিত হয়। মন্দির দুইটা নবম কিংবা দশম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত এবং স্তৃপটা নূ্যনকল্পে খৃষ্টিয় চতুর্থ শতাব্দীর বলিয়া জেনারল কনিংহাম অনুমান করেন । পৰ্ব্বতের উত্তর প্রান্তে এক প্রকাণ্ড প্রস্তর নিৰ্ম্মিত নরমূৰ্ত্তি আজানু মৃত্তিকাতে প্রোথিত আছে। ইহার শীর্ষদেশে একখানি ক্ষুদ্রাকারের ধ্যানী বুদ্ধমূৰ্ত্তি নিরীক্ষণ করিয়া ইহা বুদ্ধদেবের শিষ্য অবলোকিতের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া অবধারিত হয়। সম্ভবতঃ এই মূৰ্ত্তি উদ্ধারের জন্য কোনও এক সময়ে চেষ্টা করা হইয়া থাকিবে ; কিন্তু কোন কারণ বশতঃ আর উদ্ধত না করিয়া মূৰ্ত্তিটা এই অবস্থাতেই পরিত্যক্ত হইয়াছে—ইহার বর্তমান অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া এইরূপ অনুমান করা যায়। এতদ্ব্যতীত আরও কতকগুলি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি পর্বতগাত্র-অবলম্বনে বর্ণিত মূৰ্ত্তির অল্পদূরেই শৈলমালার পাদদেশে স্থাপিত আছে। ঐ সমূদয় মূৰ্ত্তিও এইস্থান হইতেই উদ্ধৃত হইয়া থাকিবে বলিয়া বোধ হয় । প্রাগুক্ত পৰ্ব্বতের উত্তর দিকে “চন্দ্র খুর” (চন্দ্রপুকুর) বা চন্দ্রতাল নামে খ্যাত দুই সহস্র ফিট দীর্ঘ পাঁচশত ফিট, প্রস্থ এক সুবিখ্যাত দীর্ঘিকা আছে । ইহার সম্বন্ধে যে প্রবাদ প্রচলিত আছে তাহ নিম্নে বিবৃত হইল ।