পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चन्झN<Cजच्* ليبيا وريحه পূৰ্ব্বকালে চন্দ্রসেন নামক জনৈক নৃপতি এই প্রদেশে রাজত্ব করিতেন। কোন কারণ বশতঃ তদীয় ভাগিনেয়ের সহিত মনোমালিন্য ঘটিলে উভয়ের মধ্যে তুমূল সংগ্রাম আরম্ভ হয়। রাজা চন্দ্রসেন তাহার ভগিনীতনয়কে সমর প্রাঙ্গণে নিহত করিয়া সংগ্রামে জয় লাভ করেন বটে ; কিন্তু যে অস্ত্রের দ্বারা সহোদরাপুত্রের প্রাণ সংহার করেন, তাহা হস্ত হইতে স্থলিত না হওয়াতে বিষম চিন্তান্বিত অন্তরে দিন যাপন করিতে থাকেন । এমন সময়ে এক দিবস অকস্মাৎ এক তৃষ্ণাতুর ধেনু রাজার সমীপে উপস্থিত হইলে, রাজ তাহাকে তৃষ্ণায় কাতর অবলোকন করিয়া একটা বারিপূর্ণ পাত্র তাহার সম্মুখে স্থাপন করেন। ঐ গাভী পাত্র নিঃশেষ করিয়া জল পান পূর্বক প্রস্থান করিব মাত্র রাজার হস্ত হইতে স্বতঃই উক্ত অস্ত্র স্থলিত হয় । দৈববশতঃ রাজা এই রূপে প্রাগুক্ত মহাবিপদ হইতে নিস্কৃতি লাভ করাতে, এই অভূতপূর্ব ঘটনার স্মারকচিহ্নস্বরূপ এক দীর্বিক খনন করাইতে মনস্থ করেন । তদনুসারে তিনি স্বীয় বাসনা মন্ত্রীর নিকট জ্ঞাপন পূর্বক আদেশ করেন যে, রাজকীয় অশ্বকে বন্ধনবিমুক্ত করিলে যে পরিমাণ ভূমিখণ্ড ঐ তুরঙ্গ পরিক্রমণ করিবে, তৎস্থলেই এক দীর্ঘিকা খনন করিতে হইবে । রাজার এবংবিধ আদেশ শ্রবণ করিয়া মন্ত্রী উদ্বিগ্ন চিত্তে ভাবিতে লাগিলেন—যদি অশ্ব সম্ভবাতিরিক্ত ভূমি পরিক্রমণ করে, তবে তাহার কি প্রতিবিধান করা যাইবে ? অনেক চিন্তার পর সুচতুর রাজ-সচিব পর্বতমালাবেষ্টিত ধরাওতগ্রামের এই স্থান নির্বাচন পূর্বক রাজকীয় তুরঙ্গ বন্ধনবিমুক্ত করেন। কথিত আছে যে, উক্ত তড়াগ তটে যে একটা অতি প্রাচীন মন্দির দৃষ্টিগোচর হয় সেই স্থান হইতেই ধাবনাৰ্থ অশ্ব বিমোচিত হইয়াছিল । প্রাগুক্ত উপায়ে দীর্বিক খননার্থ স্থান নিৰ্দ্ধারিত হইলে, পরদিন প্রত্যুষে সর্বপ্রথমে রাজা স্বয়ং পাচকুড়ি পরিমাণ মৃত্তিক তথা হইতে খনন পূর্বক ঐ মৃত্তিক স্বয়ং বহন করিয়া দূরে নিক্ষেপ করেন। তদনন্তর সমস্ত রাজকৰ্ম্মচারী একাদিক্রমে তদ্রুপ করিতে থাকেন। কেবল এক ব্যক্তি উক্তকাৰ্য্য হইতে