পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 ఇకలి: নিরস্ত থাকায়, তাহাকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সে উত্তর প্রদান করে যে—অামি ক্ষত্রিয়, অস্ত্র বহন করা আমার ব্যবসায়, মৃত্তিকা বহন করা আমার কৰ্ম্ম নহে। তাহার এবংবিধ উক্তি শ্রবণে রাজ ক্রোধান্বিত হইয়া এক লিপি সহিত তাহাকে সিংহল-মহীপের নিকট প্রেরণ করেন । ঐ ব্যক্তি সিংহলে উপস্থিত হইয়া তৎপ্রদেশস্থ রাজসমীপে নৃপতি চন্দ্র সেনের লিপি প্রদান করিলে, তিনি তাহাকে একটী শিল-স্তম্ভ প্রদান পূর্বক এইরূপ আদেশ করেন যে, স্তম্ভটী বহন করিয়৷ নিশাশেষের কুকুটরবের পূর্বে রাজা চন্দ্রসেনের নিকট উপস্থিত করিতে হইবে । এই আদেশ সহ একটী পাষাণস্তম্ভ প্রাপ্ত হইয়া ঐ ব্যক্তি সিংহল দ্বীপ হইতে প্রত্যাগমন করিতে থাকে। কিন্তু তাহার দুর্ভাগ্য বশতঃ ধরাওতের অল্পদুরে উপস্থিত হওয়া মাত্র অকস্মাৎ উষার পূর্বসূচক কুকুটরব ঘোষিত হয়, এবং তৎসঙ্গেই উক্ত পাষাণস্তম্ভ তাহার স্কন্ধদেশ হইতে বিচু্যত হইয়া ভূমিতে পতিত হয় । শত চেষ্টা করিয়াও আর সে উহা উত্তোলন করিতে সক্ষম হয় নাই । ধরাওতের পূর্বদিকে নুনাতিরেক আট মাইল দূরে, ফন্তু নদীর তীরদেশস্থ “লাঠ” নামক গ্রামের প্রান্তরে ৫৩ ফিট দীর্ঘ ও ৩ ফিট ব্যাসের যে এক প্রকাণ্ড পাষাণস্তম্ভ অধুনা পতিত রহিয়াছে, ইহাই সেই স্তম্ভ বলিয়া কথিত আছে । ইহাও জ্ঞাত হওয়া যায় যে, এই গ্রাম মধ্যে উক্ত স্তম্ভ পতিত থাকা বশতঃ গ্রামটাও তাহার নামানুসারে “লাঠ” আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে। বণিত স্তম্ভকে পল্লীবাসিগণ “লাঠ গোসাই” বলিয়া ভক্তিভরে পূজা করে। ধরাওত গ্রাম মধ্যস্থ “চন্দ্র খুর” বা “চন্দ্র তাল” নামে প্রসিদ্ধ সরোবরের উত্তর পূর্ব কোণে যে দুইটা আধুনিক মন্দির বর্তমান, তাহার অল্পদুরবর্তী একটা ক্ষুদ্র মন্দিরের অভ্যন্তরে বহুসংখ্যক প্রস্তর মূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে । ঐ সমুদয় মূৰ্ত্তির অধিকাংশই গ্রামমধ্যস্থ পৰ্ব্বত প্রান্ত হইতে আনীত বলিয়া জ্ঞাত হওয়া যায়। মূর্তি নিচয়ের মধ্যস্থ কাত্যায়নী দেবীর মূর্তিখানিই সৰ্ব্বাপেক্ষা বিখ্যাত এবং প্রণিধান যোগ্য । এই হিন্দু শক্তিমূৰ্ত্তি যে পাষাণখণ্ডে নিৰ্ম্মিত,