পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 न्हां*><ध. উপরে যে নারী মূৰ্ত্তির বিষয় বর্ণিত হইয়াছে, তাহার সম্মুখবর্তী পল্লী-পথের অপর পার্থে অল্পদুরে প্রান্তরের সমতল এক গোলাকৃতি পাদপীঠেপরি মহাদেবের প্রতিমূর্তি স্বরূপ পঞ্চমুখবিশিষ্ট একটা শিলাস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত আছে । উক্ত পাষাণ-স্তম্ভ নূ্যনাধিক এক হস্ত পরিমিত উচ্চ হইবে এবং তদগাত্রস্থ মুখ নিচয় সযত্নে নিৰ্ম্মিত । উল্লিখিত মহাদেব-মূৰ্ত্তিটা সমধিক প্রাচীন বলিয়া মনে হয় না। এই স্থানে যে সমুদয় মূর্তি প্রভৃতি অবস্থিত, সেই সমুদয়ের তুলনায় ইহা আধুনিক বোধ হয় । জনৈক পল্লী নিবাসীর বাসগৃহের অলিন্দ-মধ্যে একটা প্রকাণ্ড পাষাণফলকে খোদিত শিবশক্তির প্রতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত আছে। উক্ত প্রস্তর-ফলক নূ্যনকল্পে তিন হস্ত উচ্চ হইবে এবং তদগাত্রে নিৰ্ম্মিত মূর্তিদ্বয়ের আয়তনও প্রায় দুই হস্ত পরিমিত হইতে পারে। ইহার তুল্য এত বৃহৎ শিব-শক্তির প্রতিমূর্তি এই প্রদেশস্থ আর কোন স্থানে আছে কিনা, ইহা এতদঞ্চল নিবাসী কোন ব্যক্তিই বলিতে সক্ষম নহে । বর্ণিত মূৰ্ত্তির সম্মুখদেশে নিৰ্ম্মাল্য প্রভৃতি অবলোকন করিয়া অনুসন্ধানে জ্ঞাত হইলাম যে, মুক্তিটী যাহার গৃহমধ্যে অবস্থিত, তৎকর্তৃক ইহা দৈনন্দিন পূজিত হইয়া থাকে। গয়া জিলার অন্তঃপাতী যে সমুদয় স্থান প্রাচীন কালের নিৰ্ম্মিত প্রস্তরমূর্তি প্রভৃতিতে পরিকীর্ণ, তন্মধ্যে এই গ্রামের তুল্য এত অধিক মূর্তির সমাবেশ অন্যত্র প্রায়ই পরিলক্ষিত হয় না। পূর্ববর্ণিত দুইট প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ভগ্ন নিকেতন এবং যে মূৰ্ত্তি নিচয় এই স্থানে অবস্থিত,—তৎসমুদয় কোন সময়ে কাহার দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, এই সমস্ত বিষয় বহু অনুসন্ধানেও জ্ঞাত হওয়া গেল না। যাহা হউক— এই স্থান যে কোন এক সময়ে একটী স্থপ্রসিদ্ধ জনপদ ছিল, ইহা স্থানীয় অবস্থা পর্য্যবেক্ষণ করিয়া স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় । বর্তমান ধরাওত নামে খ্যাত গ্রাম-মধ্যে অবস্থানপূর্বক “চন্দ্রসেন”