পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి రి ভারতী । মন্দিরচুড়া নীল আকাশের অনেকখানি পৰ্য্যন্ত অধিকার করিয়াছিল। এখন, মন্দিরের উৎকৃষ্টভাগ কালের কবলে আত্মসমর্পণ করিয়াছে,—মাত্র জগমোহনটি অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। সেই স্বল্পাবশিষ্টের মধ্যে, আজও যাহা দেখা যায় তাহ অপূৰ্ব্বমুন্দর। কিন্তু তাহার আশাও আর বেশী দিন করিও না । জগমোহনের ভিতরে যাইবার উপায় নাই। দ্বার পথ হইতে, স্বলিত প্রস্তর স্ত পাকীর্ণ কক্ষতল দর্শন করিয়া, অতি সাহসীও তাহার ভিতরে প্রবেশ করাকে, বুদ্ধিমানের কাজ বলিয়া বিবেচনা করেন না। জগমোহনের উপরিভাগ অযত্ন সুলভ শৈবালচিত্রে গুণমায়মান । কারুকার্ষ্য, যা কিছু দেখা যায়, তা’ বাহিরে । মোহনের পিছনে প্রধান মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পৰ্ব্বতা করে পড়িয়া আছে । কণারকের জগমোহনট প্রথম দুষ্টতে অবিকল ভুবনেশ্বরের মত বোধ হয়। এবং সে সাদৃশু, এমন পরস্পরানুসারী,—যে দৃষ্টিবিভ্ৰম অনিবাৰ্য্য । কিন্তু কণারকের ভিত্তিগাত্রস্থ কারুকার্য্য দেখিলে, সহজেই সে ভ্রম, টুটিয়া যায় । মন্দিরের অনেক অংশ লুব্ধ মহারাষ্ট্রয়ের ঘর বাড়ী তৈয়ারী করিবার জন্য পুরীতে লইয়া গিয়াছে। অরুণন্তস্তটও, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দোলমঞ্চসারি নামক পথের মধ্যে স্থাপিত আছে। তাহার মস্বণত, তাহার নিৰ্ম্মাণ প্রণালী এবং তাহার সুডৌল সৌন্দর্য্য, যিনি দেখিয়াছেন,—তিনিই মুগ্ধ হইয়াছেন। স্তম্ভটর মধ্যভাগে কোনরূপ কারুকার্য্য নাই,—নীচেও যে কারুকার্য্য জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ আছে, তাহ। অল্পের মধ্যে বেশ । কিন্তু অরুণ স্তম্ভের কথা এখন থাক । কণারক সম্বন্ধে, পুরুযোত্তম তন্ত্রে উক্ত হইয়াছে । “কোনার্কস্তোদ্বধস্তীরং ভক্তি মুক্তি ফলপ্রদম্। স্বাত্বৈব সাগরে স্বর্য্যtয়র্ঘং দত্ব প্ৰণম্য চ ॥” এইরূপ, নানা তন্ত্রে, নানাশাস্ত্রে কণারকের পাপতারিণী শক্তির কথা উল্লিখিত হইয়াছে। শাস্ত্রমতানুসারে, দ্বারকাপতি শ্ৰীকৃষ্ণতনয় শাম্ব, স্বৰ্য্যদেবের আরাধনা করিয়া, শাপমুক্ত হইয়া, এই স্থানে স্থৰ্য্যের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন । শাম্ব এখানে একটি মন্দির স্থাপনা করিয়াছিলেন । এবং শাকদ্বীপ হইতে অভিজ্ঞ পুরোচিত আনাইয়াছিলেন । শাম্বের উপাখ্যান পরে বলিব । অবশু, , যে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়, তাহ শাম্ব প্রতিষ্ঠিত নয় । কণারকের মহিম সম্বন্ধে, অপর এক সংহিতায় দেখা যায় :– “মৈত্রেয়াপ্যং বনং বিপ্র মৈত্রেয় তপস্তাজ্জিতম্। সত্ৰ গত্ব নরঃ শীঘ্ৰং মহীরোগ দ্বিমুচ্যতে | তত্ৰ যে তুমিচ্ছস্তি বীতরাগা বিকল্পষা: | তেষাং মনোরথ ফলং পুরয়েদিবসাধিপঃ ॥ মৈত্রেয়াখো বনে রম্যে যে ত্যজন্তি কলেবরম্। পাপানি সংপরিত্যজ্য জ্যোতিল্লেকিং ব্রজস্তি তে ॥” প্রভৃতি । কপিল সংহিতায় উক্ত হইয়াছে,— উৎকলখণ্ডে চরিটা তীর্থভূমি আছে। শখক্ষেত্র,চক্ৰক্ষেত্র, গদাক্ষেত্র এবং পদ্মক্ষেত্র । ভগবান বিষ্ণু গয়াসুর-নিধন করিয়া, উৎকলে তাহার শস্থা, চক্র, গদা ও পদ্ম ফেলিয়' যান। যেখানে যেখানে তিনি ষা ২ ফেলিয়া গিয়াছেন, সেই সেই স্থান সেই নাংের এক একট তীর্থ-ভূমিতে পরিণত হয়। শঙ্খ ঙার্থ বা জগন্নাথক্ষেত্র, চক্ৰ তীৰ্থ ব ভুবনেশ্বরক্ষেত্র, গদীতীর্থ বা পাৰ্ব্বতীক্ষেত্ৰ ( যাজপুর 으