পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । এবং পদ্ম তীর্থ ব আর্কক্ষেত্র। অtসিয়া সমুদ্রস্নান করিলে, সৰ্ব্বপাপ দূরে যায়। অর্কবটের নিম্নে উপসন কfরলে বিষ্ণুর নিৰ্ম্ম গ্র্য লাভ করা য়ায় । রথযাত্রা দেখিলে, স্বশরীরতপন দর্শনের ফললাভ হয় । শাম্ব ছিলেন, দ্বারকাপতি শ্ৰীকৃষ্ণের পুত্র । যেমন তাহার সুগঠিত।বয়ব, তেমনি তাহার অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যহী । শাম্ব ছেলেটি আমাদের প্রথমভাগের গোপীলের মত “বড় স্থবোধ ছেলে" ছিলেন না । কেবল দুষ্টমি আর কৌতুক । অমন যে মহাঋষি নারদ, যাহাকে স্বয়ং কৃষ্ণ পৰ্য্যস্ত ভক্তি করিতেন,–শাস্ব উহাকে ভয় করা দুরে থাক—প্তাহার শ্বে তৰ্ম্মশ্রীর অরণ্য দেখিয়াও টলিতেন না । তাহার ৫৪মির জন্য, নারদ ত চটিয়া-ই লাল ! অবশেষে, শাম্বকে একেবারে জব্দ করিয়া দিবার জন্ত, নীরদ এক ভয়ানক উপায় অবলম্বন করিলেন । কৃষ্ণের কাছে গিয়া তিনি বfললেন “আপনার আত শত মহিষী আর শাম্ব —আর অমন মুন্দর যুব। বুঝিলেন কি ন—" কথাট। ন বুঝিবার মত নয় । শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন— "তাও কি হয় ঠাকুর । শাশ্ব সীমার ছেলে ।” নারদ বলিলেন, "কিন্তু আপনার মহিষীরা তার বিমাহ৷ ৷ ” শ্ৰীকৃষ্ণ কথাটা উড়াইয়া দিলেন । কিন্তু আমাদের প্রবীণ-প্রসিদ্ধ চিরপরিচিত ‘ষ্টেকি ঠাকু ছুটি কথাট। তুলিলেন না । শ্রীকৃষ্ণের মহিষীরা জলক্রীড়া করিতেছেন । নারদ আসিয়া শাম্বকে বলিলেন,"শiশ্ব, তোমাকে তোমার বাবা ডাকিতেছেন।” বলিয়া, জলক্রীড়ার স্থানে উহাকে যাইতে কহিলেন । শাথ কোনরূপ সন্দেহ কkিলেন না । অগ্রসর হইলেন । প্রচুর হান্তোৎসবের মধ্যে তখন যাদবরমণিগণের জলপীড়া হইতেছিল । হয় ত, কোনও সুন্দরী নীলজলের উপরে রাঙা পদ্মের মত সাতার দিয়া ভাসিয়া যাইতেছিলেন,—কোন তরুণী পুলকাধীরা হইয় কর-কাফন-কলাপের মৃদু শিঞ্জিতের সহিত জলরাশি উৰ্দ্ধে উৎক্ষিপ্ত করিতেছিলেন, পতনশীল গলিলে বিম্বিত স্বৰ্য্যের কম্পমানকিরণ জ্বলিয়৷ তিনি কণারক । సి) কথিত আছে, এখানে উঠিতেছিল এবং কোন রূপসী পেলবআস্তে কোমলতম হস্ত বিকশিত করিয়া সলিল-ভঙ্গের সঙ্গে লস্তলীলায় বিভোরা ;–তালে তালে বক্ষের রত্ন-হার দুলিয়া, স্বৰ্য্যরাগে জ্বলিয় উঠতেছিল। যাদব রমণীরা তখন মদ্যপানে উন্মত্ত। প্রমোদেtৎসবে কটি’র বদন খসিয়া পড়িয়ছিল—সেইপথে নারী-রচিত যড়যন্ত্র ভ্রান্ত শাম্ব আসিয়া দাড়াইলেন । সে রূপের জ্যোতিতে স্বৰ্য্যও বুঝি স্নান হইয়া গেলেন । কামিনীর জল ক্রীড়া ভুলিয়া, শীথের দিকে চাহিয়৷ রহিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ অভিশাপ দিলেন—fভনি ত নারদ-ঘটিত ব্যাপার জানিতেন না—বলিলেন—“পাপিষ্ঠ ! তুই কুষ্ঠ গ্রস্ত হ ।” অভিশাপ প্রকট রোগের চিহ্ন দেহে লইয়া, শাশ্ব, চন্দ্র ভাগ। তারে অর্কদেবের আরাধনায় বসিলেন । হে জগ্‌জোভি ! হে বিশ্ব-নয়ন ! হে সৰ্ব্বপাপতারণ ! তোমার প্রদ্যোতে আমাকে উদ্ধার কর দেব । আমাকে মুক্তি দাও । তপনদেব প্রসন্ন হইলেন । শাম্ব রোগমুক্ত হইলেন । স্থcর্য্যর এই মহিমার উপরেই কণারকের প্রতিষ্ঠ । কথিত আছে, কণারকের মনিরস্থ অৰ্কমুরত সুর-কারু বিশ্বকৰ্ম্ম-কর্তৃক নিৰ্ম্মিত । যদিও, কণারকের সে মহিমা আজ বিগত, তথাপি, এখনে প্রতি মাঘমাসে এক নির্দিষ্ট দিবসে, এখানে এক উৎসব হয় । বৎসরের মধ্যে, সেই একদিনে—অদ্যাপি অর্কের অপার করুণাকাহিনী লক্ষজনকণ্ঠে গগনে পবনে বিঘোষিত হইয় উঠে । চন্দ্রভাগার জনবিরল দুকুল আবার ক্ষণেকের তরে মুক্তজনতার বিপুলপুলকোচ্ছ, সে প্লাবিত হইয়া যায়। তাহার পর, আবার শ্মশানের গাম্ভীৰ্য্য ! হায় কণারক ! এইবারে, মন্দিরের আলোচনা করা যাক। ষ্টার্লিংসাহেবের মতে, এই মন্দির ১২৪১ কাল-নির্ণয় সম্বন্ধে