পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । “বিশ্বজীবন বিমোহচ্ছবি কোসিদেব যদুদেধি মে পুরঃ ত্বাং পিবামি হৃদয়েন নির্ভরং তিষ্ঠ তিষ্ঠ... যেমন হৃদয় দেবতাকে বলিতেছি ‘তিষ্ঠ তিষ্ঠ' তেমনি যে বন্ধুরা ভারতশিল্প লইয়া বিচারে বসিয়া গেছেন তাহীদের ও বলিতেছি 'তিষ্ঠ তিষ্ঠ’—তোমরা বিচার লইয়া থাক, আমি যাই—পথ ছাড় ; গোলযোগ করিয়া ধূলা উড়াইয়া আমার পথ আঁধার করি ও না । আর র্যাঙ্গর চূণকাম ও তৈল সিন্দর দিয়া ভারতশিল্পলক্ষ্মীকে স্থঠাম পরিস্কার স্বভব্য ও সুসভ্য করিয়া তুলিতে চাহেন তাতাদের ও বলিতেছি 'তিষ্ঠ তিষ্ঠ’, আর রং চড়াইয়। কাম নাই ও যেমন আছে থাক ; ওষ্ট কালোরূপে ভারতশিল্প জগৎ আলো করিয়া আছেন তেল রং মাথাষ্টয়া দেবতাকে আর বহুরূপী সাজা ও কেন ? অমানি শার দ্যায় স্তব্ধ শাস্ত এই ভার তশিল্প চোখে কালে ঠেকিতেছে কিন্তু হৃদয়ত্নয়ার খুলিয়া একবার ইহার গভীরতা অনুভব কর, নির্নিমেষ বিস্ময়ের মত নিস্তরঙ্গ রসসমুদ্রে অসীম রহস্তের মাঝে স্থির পদ্মাসনা ভুবনেশ্বরীকে দেখিয়া কৃতাৰ্থ হইবে । কথায় বলে "তর্কে বহু দুর" ভারতশিল্পকে যতদিন আমরা তুলনায় সমালোচনা করিয়া তর্কের দ্বারা বুঝিতে চলিব ততদিন এই বিবট শিল্পের বহিরক্ষিণ অংশটাই তাহার স্ব এবং কু হইয়া আমাদের চোখে পড়িবে। আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষগণ যে শিল্প স্বস্ট করিয়া গেছেন তাহা সেকালে ও লেমন আমাদের ছিল, একালেও তেমনি নিতান্ত আমাদেরই উপযোগী একথা আমরা কিছুতেই বুঝিতে শিল্পে ভক্তিমন্ত্র। సెసి পারিব না যতদিন না যাহা দান পাইয়াছি সেটাকে শ্রদ্ধা সহকারে লইতে শিখিল । স্বল্পই হউক, অধিকই হউক, মহৎ হউক বা না হউক পূৰ্ব্বপুরুষের শিল্পসস্তার অসঙ্কোচে শ্রদ্ধার সহিত গ্ৰহণ আমাদের করিতেই হইবে এবং সেইটাই আমাদের পক্ষে শ্রেয়। আর সেটাতে বীতশ্রদ্ধ হইয়া ধারের মাল আত্মসাৎ করিয়া নিজেকে ইউরোপীয় শিল্পীর সমকক্ষ বলিয়। মূ তই প্রচার করি না কেন তাঙ্গাতে দিন দিন নিজেকে হেয় তো করি বই উপরন্তু অসত্যবাদীর নরকের দিকেই অগ্রসর হইব । শিল্পী বলিয়া অfজ ও ঘে ভারতবাসীর থ্যাতি আছে সেটা কি আমাদের ওষ্ট ধারকরা মালের অধিকারিত্বের বলে না অী হমানকাল সে শিল্প এখনও ধরিয়া আছি তাহা িফলে ? সামান্ত স্বর্ণকার কুস্তকার হইতে দেবতার দ্বারে বসিয়া যাহার। পট লিখিতেছে তাহারাই ভারতশিল্পকে যথার্থ আশ্রয় করিয়া আছে এবং তাহারাই আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র, পিতৃপুরুষের শিল্পকে যাহার প্রত্যাখ্যান করিয়া চলিয়াছে তাহারা নয় ; হরির নামে যাহাদের হরিভক্তি উড়িয়া যায় তাহারা নয়। দেশের স্বর্ণকার এবং কুস্তকারগণকে আমি অযথ বাড়াইতে চাহিতেছি এবং কালীঘাট ও জগন্নাথের পটুয়া সকলকে বিজাতীয় ধরণে শিক্ষিত পেণ্টারগণের উচ্চে স্থান দিতেছি বলিয়া অনেকে সচকিত হইয়া উঠিবেন, কি স্তু স্বধৰ্ম্মের উপরে অটল নির্ভর যদি আমাদের কাছে শ্লাঘনীয় হয় তবে স্বশিল্পে যাহারা এখন ও নির্ভর করিতেছে তাহারাই বা আমাদের শ্রদ্ধা কেননা আকর্ষণ করিবে।