পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 0 & সৃষ্টি রক্ষা করিবার ভার, এবং বণিকগণ যাহাঁদের হাতে এই শিল্পেব প্রচার কি সংহার করিবার ভার—এই তিনজনের কাহারও যদি রক্ষণশীল বৃত্তির অভাব ঘটে তবেই সৰ্ব্বনাশ । যাহাঁদের হাতে ভারতশিল্প স্বষ্টি করিবার ভার তাহারা যদি গ্রীকশিল্প স্বষ্টি করিতে বসিয়া যায়, ভারতশিল্পকে রক্ষা করাই যাহাদের কায তাহারা যদি উপুড় হস্ত করিতে নারাজ হয়, আর যাহাদের হাতে মরণ বাচনের কাঠি তাহারা যদি মৃত্যু দণ্ডটাই উদ্যত রাখে তবে যে একটা স্থষ্টিছাড়া কাণ্ড উপস্থিত হয় ইহাতে কি কোন সন্দেহ আছে ! এই ত্ৰিমূৰ্ত্তি স্ব স্ব কার্য্যে বিমুখ হইলে প্রলয়ের বিলম্ব ঘটিবে না। শিল্পের বিপন্ন দশা সকল দেশে ঘটে এবং সকল দেশেই প্রতিকারের জন্ত এই তিনজনই জাগ্রত থাকে। এই রক্ষণশীল বৃত্তি প্রহরীর কার্য্য করিয়া চলিলেই তবে মঙ্গল । শিল্পবিষয়ে এই রক্ষণশীলতা আমরা যে হারাইয়াছি তাছার প্রমাণ পদে পদে পাইতেছি । আইন করিয়া এদেশের প্রাচীন কীৰ্ত্তি সকলকে রক্ষা করিতে হইল। ভারত শিল্পশালায় ভারতশিল্পেরই একাধিপত্য হওয়া প্রয়োজন কিনা এ কথা লইয়া তুমুল তর্ক চলিল ও এখনও চলিতেছে । বিংশ শতাব্দির ইতিহাসে আমাদের এই রুচি কলঙ্ক লক্ষ্মণসেনের পলায়ন কলঙ্কের মত একটা বিশেষ চিহ্ন রাথিয়ু যাইবে যদি না শিল্পীর তুলিকা এই কলঙ্কের অঞ্জনকেই চিত্তরঞ্জন নবভাবে প্রকাশ করিয়া দেয় । বিশ্বশিল্পী যিনি শ্মশানের পাশ্বেই জীবনের छांद्रडौ । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ শ্ৰোত বহাইয়া স্বষ্টিকে স্থিতি এবং সংহারকে সংস্থান দিয়া থাকেন তাহার বিধানই সত্য বিধান এবং সকল বিষয়ে কল্যাণকর । আমাদের শাণিত বুদ্ধি খঙ্গের মত ভারত শিল্পকে সংহার করিতেই উদ্যত রাখিব এরূপ দুৰ্ব্বদ্ধি অমৃতের তীর হইতে আমাদের लूंङ्गं লইয়া যাইবে। গ্ৰীক মূৰ্ত্তিগুলা যে সুন্দর তাছা বিশ্বাস করি এবং সেগুলা যে গ্ৰীক-শিল্পীর প্রেম দিয়া ভক্তি দিয়া গড়িয়াছে তাহা ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের মুখ হইতেই শুনি ও বিশ্বাস *f; I Gods and goddesses the Greek carved because he lovcd thcm. কিন্তু সেইগুলাকে দশটা হইতে চারিটা পৰ্য্যস্ত কয়লার আঁচড় দিয়া বাঙালীর ছেলেরা কপি করিলে যে এদেশে শিল্পের আবির্ভাব সত্বর ঘটিবে এ কথা কোনদিন কখন বিশ্বাস করিব না। কোন প্রেমের আবেগে গ্রীক শিল্পীর হাতের বাটালি শ্বেতময়ূরের কোন স্থানে কেমন বেগে আঘাত করিয়া রেখায় রেখায় সৌন্দর্য্যকে বিকশিত করিয়া তুলিয়াছে তাহ ৫০ কেন ৫০• বৎসর চেষ্টা করিলেও আমরা দখল করিতে পারিব কিনা, জানিনা কিন্তু এটা স্থির জানি, যে শক্তিটা ভারতশিল্পের হষ্টি করিয়াছে তাহ আমাদের হৃদয়ে এখনও ভস্মাচ্ছাদিত বহ্নির মত প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে ; ঐচৈতন্তের প্রেমের সঙ্গীত এখনও হৃদয়ে তরঙ্গ তুলিতেছে, বুদ্ধের করুণ বাণী এখনও হৃদয় দ্রব করিতেছে, পাৰ্য্যগণের দেবলোক এখনও আমাদের কাছে অদৃশু হয় নাই যে ভাবের বন্ধন প্রাচ্য শিল্পের সহিত সহস্ৰ নাড়ির বন্ধনে আমাদের যুক্ত রাখিয়া!ে