পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) e B তেমনি সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বেকার চিত্রাক্ষর তাহার ভাব ও ভাষা নবীন বাঙালীর কেমন করিয়া সহজে বোধগম্য হয় ! এটা কি মন্ত্রের কার্য্য ! গোড়া হইতে অক্ষর পরিচয় না ঘটিলে ভারত শিল্পের পূেব ভাষার মৰ্ম্ম গ্রহণ কোনকালেই সম্ভবপর হয় না, শুধু অক্ষর পরিচয় নয়, অর্থ গ্রহণ, ভাষা জ্ঞান, অলঙ্কার, ভাব প্রভৃতি লইয়া বিস্তর চর্চার প্রয়োজন ; এই সমস্ত গুল দখল করিয়া ছাত্রদের উপদেশ দিয়া যদি ভারতশিল্পের সহিত তাহদের এই সহজ পরিচয় ঘটাইতে হইত তবে ছাত্রগণসহ হিমালয়ে গিয়া যষ্ঠি সহস্ৰ বৎসর পরমায়ুৰ জন্ত তপস্ত ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না । ক’ত শত বৎসর পূৰ্ব্বে এই সকল অজস্তা চিত্র লিখিত হইয়াছে তাহার পরে কত প্রলয় কত পরিবর্তন কত বিরুদ্ধ মনোভাব ও শিক্ষা প্রাচীন ভারতের শিল্পীগণের সহিত বিংশশতাব্দীর এই কয়জন বাঙ্গালী চিত্রকরকে বিচ্ছিন্ন রাখিয়াছে তাহার ঠিকানা নাই, আবার এই চিত্রকরগণ কেমন ? কেহ তিন বৎসর মাত্র ভারতশিল্প চর্চা করিতেছে কেহ বা সাত আট মাসের অধিক নয় । ইহার কেমন করিয়া বলে বৌদ্ধশিল্প আমাদের সম্পূর্ণ পরিচিত ! গুরুর কাছে মিথ্যা বলিবে বা বৃথা অহঙ্কার করিবে এমন ছাত্র ও ইহার নয় ! তবে এ ঘটনা কিরূপে সম্ভব ? কোন মন্ত্রবলে ইহার দেশকাল অতিক্রম করিয়া প্রাচীন প্রাচ্য শিল্পকে পরিচিতের মত বোধ করিতেছে ? সে মন্ত্র খুজিতে আমায় দেশ বিদেশে যাইহে হয় নাই, এই মন্ত্রে আমারও যেমন, छांब्रडौ জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ ছাত্রদেরও তেমন আর দেশের জনসাধারণেরও তেমনি অধিকার, যাহা আমাদের ঋষিগণেরই দীন, চিরদিনের ধন “নমস্তস্মৈ ভক্তয়ে অচিন্ত্য শক্তয়ে” অচিন্ত্য শক্তি এই ভক্তিমন্ত্রের সাধন যতদিন আমাদের সম্পূর্ণ না হয় ততদিন ভারতশিল্প চর্চা করিতে যাওয়া বৃথা। পাষণে পতিত বীজ করে অস্কুরিত হইয়াছে ? - “যথা বীজং বিন ক্ষেত্ৰং বন্ধ্যং ধারা শতৈরপি তথা ভক্তি: বিনা কৰ্ম্ম ব্যর্থং যত্ন শতৈরপি” । শ্ৰীকৃষ্ণ একবার কোন ভক্তকে বিষ্ণুমুর্তিতে দর্শন দিয়া কৃতাৰ্থ করিতে আসিয়া ছিলেন, কিন্তু ভক্ত র্তাহার রামরূপের পক্ষপাতী সুতরাং প্রভু রামরূপ ধরিয়া তবে নিস্তার পাইলেন । তেমনি ভারতশিল্পের নবরূপ যদি আমরা দেখিতে চাহি তবে প্রথমেই আমাদের ভক্তি চাই । যেদিন আমবা শিল্পদেবতাকে ভক্তির জালে বাধিব সেদিন আমরা তাহকে মনোমত রূপ ধরাইতে সক্ষম হইব । তখন আমরা জোর করিয়া বলিতে পারিব দেবতা তুমি আমাকে আমার মনোমত রূপে দর্শন দাও, তোমার প্রাচীন যুগের ও রূপ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ওই বর্ণকাস্তি ভাব ভঙ্গি আমার মনে ধরে না, আমি তোমায় শ্রামসুন্দর না দেখিয় নবমুন্দর দেখিতে চাহি। দেবতার উপরে এই জোর কেবল ভক্তিবলেই চলে । তর্কের দ্বারা বিচার বলে র্তাহীকে মনোমত রূপ ধরানে চলে না ; তার্কিকের দন্তে তিনি দৃকপাতও করেন না, কিন্তু প্রেমিকের দাবি অন্তায় হইলেও তিনি সৰ্ব্বদা গ্রাহ করেন । €ीठादनौठा नांथं ?ांकूज़ ।